April 18, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

ধরিত্রীর ঈশ্বরী যখন হয়ে ওঠেন  নৃশংস দুঁদে খুনি !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

আমরা ঠিক ঈশ্বরের পরেই ডাক্তারদের স্থান দেওয়া হয়। আবার অনেকের মোতে ডাক্তাররাই আসলে ভগবান। কারণ তা এমন এক মহান পেশায় জড়িত যা মানুষকে জীবনদান করে। তাই এই পেশায় নিয়োজিত মানুষদের আমরা মহৎ ব্যক্তিদের তালিকাতেই রাখা হয়। কিন্তু যখন এই মহান ব্যক্তিরাই যখন হয় ওঠেন নৃশংস দুঁদে খুনি, তখন! কি বলবেন তাদের ?

সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হল, বহু যুগের চাপা পড়া ইতিহাসের পাতা ঘাটলেই দেখা যায় বিশ্বের যত নৃশংস খুনের ঘটনা রয়েছে তার বেশিরভাগের পেছনে রয়েছেনা দুর্দান্ত সব চিকিৎসকরা, যাদের হাতেই নিষ্ঠুরভাবে খুব হয়েছেন বহু নিরপরাধ। কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন বহু ডাক্তার। উদাহরণস্বরূপ আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি ইতিহাস আলোড়নকারী তিন চিকিৎসকের নৃশংস সব খুনের ঘটনা।

ড. আলফ্রেড উইলিয়াম ওয়ার্ড এবং তার সহধর্মিনী একসঙ্গে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন আমেরিকা ব্রাইটনে। সামুদ্রিক এলাকা ব্রাইটনে গিয়ে থাকার জন্য তারা একটি হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানে যাওয়ার পরেই হঠাৎ তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে মারা যায়। কিন্তু এটি কোন স্বাভাবিক মৃত্যু ছিলনা কারণ পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে তার স্ত্রীর শরীরে অনেক অতিরিক্ত বিষ পাওয়া যায়। এভাবে স্ত্রীকে খুন করে নিজেই সেই অপরাধ বুঝতে পেরে আত্মহত্যা করে বসেন আলফ্রেড উইলিয়াম ওয়ার্ড। তবে এটাই তার একমাত্র হত্যাকাণ্ড নয়। ড. আলফ্রেড তার আগের দুই স্ত্রীকেও রহস্যজনক ভাবে হত্যা করেছিলেন।

১৯৯৫ সালের কথা, লস এঞ্জেলসের একটি হাসপাতালের একজন সফল চিকিৎসক ছিলেন ডা. বার্নার্ড ফিঞ্চ। সেই হাসপাতালেরই একজন রিসিপশনিস্টের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাদের সম্পর্কের কাঁটা ছিল  রিসিপশনিস্ট ক্যারোল টিগ্রোফ এর স্বামী এবং বার্নার্ডের স্ত্রী।নিজেদের পথের কাঁটা সরাতে দুজনেই আলাদা-আলাদা পথ খুঁজে নেন। ক্যারোল ডিভোর্স দিলেন তার স্বামীকে, কিন্তু ডাক্তার বার্নার্ড সুকৌশলে হত্যা করলেন তার স্ত্রীকে।

ড. থমাস নিল কাইম ছিলেন একজন দুর্দান্ত চিকিৎসক। ১৮৫০ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম বোরো হয়ে ওঠা কানাডায়। সেই সময় জ্যাক দ্য রিপার নামের এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব হয়। সেই সিরিয়াল কিলারের চেহারা কেউই তখন দেখেনি। তার হাতে খুন হওয়া প্রত্যেকটি মহিলাই ছিলেন পতিতা। সেই  কিলারের  মতো থমাস নিল কায়েমের নেশা ছিল রোগী হত্যা করা। কাইমের হাতে কোন মহিলার গর্ভপাত হলে, সেই মহিলাও প্রাণে মারা যেতেন। পরে জানা যায় জ্যাক দ্য রিপারের সঙ্গে ড: থমাস নিল কাইমের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। কেউ-কেউ আবার বলেন ধারণা করেন ড. থমাস নিল কাইমই হলেন সেই সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্য রিপার।

ঠিক এমনই ১৮ সেঞ্চুরির দিকে ড. লেভি উইল বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি পরিচয় গোপন রেখে রাতের বেলায় ডাকাতি করতেন আর সেই ডাকাতির সময় বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুও হয় তার হাতে।  

Related Posts

Leave a Reply