April 24, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এক রাতের অবাক ‘বিয়ে’!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমসঃ

চিরচেনা বিয়ের পরিচিত ছক থেকে একেবারেই আলাদা এই জনগোষ্ঠীর বিয়ে। মন্ত্র পড়া, আংটি বদল, প্রতিশ্রুতি-কোনও কিছুই হয় না। নেই শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে থাকার কোনও ব্যাপারও। যাকে বলা যায়- এক রাতের ‘বিয়ে’! অবাক হওয়ার মতোই! কিন্তু এটাই বাস্তব মোসুও জনগোষ্ঠীর মানুষদের কাছে। তিব্বত সীমান্তের কাছে, চীনের ইয়ুনান ও সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দা এই মোসুওরা নিজেদের ‘না’ নামেও পরিচয় দেয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ ফুট উচ্চতায় বাস করে এই গোষ্ঠী। বর্তমানে তাদের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এখান থেকে কাছের শহরের দূরত্ব সড়ক পথে প্রায় ঘণ্টা ছয়েক।

প্রসঙ্গত, জনসংখ্যা এত কম বলে চীনের প্রশাসন এই গোষ্ঠীকে পরিচিতিই দেয় না। আদতে মাতৃতান্ত্রিক এই গোষ্ঠীতে নারীরাই রয়েছেন সব কিছুর নেতৃত্বে। বাড়ির কাজকর্ম থেকে প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব, সবই বহন করেন মহিলারা। তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপারটি হলো এদের বিয়ের রীতি। পাত্র-পাত্রী নিজেরাই নিজেদের পছন্দ করেন। এবং পাত্র রাতে পাত্রীর বাড়িতেই থাকে। সকাল হলে সে ফিরে যায় নিজের বাড়ি। এমন ভাবেই সম্পর্ক চলে দু’জনের। যত দিন ইচ্ছে হয়, তত দিন। কেউই কারও ওপর কোনও প্রভাব খাটায় না।

প্রসঙ্গত, যে ঘরে পাত্র-পাত্রী রাত কাটায় তাকে ‘ফ্লাওয়ার রুম’ বলা হয়। একজন মহিলার সঙ্গে যে একজন পুরুষেরই সম্পর্ক থাকে তা একেবারেই নয়। এবং মহিলা অন্তঃসত্তা হলে, তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়েরও প্রয়োজন হয় না। শিশুটি বেড়ে ওঠে তার মায়ের কাছেই, মামার বাড়িতে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, মোসুও সম্প্রদায়ের পুরুষ তার নিজের সন্তানের বদলে মানুষ করে ভাগ্নে-ভাগ্নিকেই। চৈনিক সমাজ মোসুও সম্প্রদায়কে খানিক হীন দৃষ্টিতেই দেখে। তারা মনে করে, এই সম্প্রদায় এখনও পড়ে রয়েছে আদিম যুগেই।

 

Related Posts

Leave a Reply