April 20, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

বুদ্ধ উবাচ

[kodex_post_like_buttons]

।। রজত পাল।।

বুদ্ধ উবাচ

বুদ্ধ বলছেন

‘ ন চাহু ন চ ভবিস্সতি ন চেতরহি বিজ্জতি

একন্তং নিন্দিতো পোসো একন্তং বা পসংসিতো ।
– একান্ত নিন্দিত বা একান্ত প্রশংসিত কোনও পুরুষ অতীতে ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও হবে না । তিনি তার শিষ্য অতুলকে বলছেন যে পৃথিবীতে অনিন্দিত কেউ নেই ।
‘ কস্মারো রজত স্সেব নিদ্ধবে মলমত্তনো ।
অনুপুব্বেন মেধাবী থোকথোকং খনে খনে ।”
– যেমন কর্মকার রজতের ( আহা , কি দ্যার্থক !!) মল নিষ্কাষণ করে, মেধাবী ( হতে পারছি কই ) তেমনই ক্ষণে ক্ষণে তার মনের মল ক্ষালন করবেন ( একদিন না একদিন পারতেই হবে বন্ধু )।
এরপরেই ধর্মপদ যা বলছেন একই কথা মহাভারত ও বলছে । জানিনা কোনটি আগে । কারণ মহাভারত প্রথমে 24 হাজার শ্লোকে রচিত হয় । পরে যা বর্ধিত হয়ে হয়ে 1 লক্ষ হয় ।
‘ অক্কোধেন জিনে কোধং অসাধুং সাধুনা জিনে
জিনে কদরিয়ং দানেন সচ্চেন অলিকবাদিনং।।
-ধম্মপদ
“অক্রোধেন জয়েৎ ক্রোধং অসাধুং সাধুনা জয়েৎ
জয়েৎ কদর্যং দানেন জয়েৎ সত্যেন চানৃতং ”
– উদ্দোগপর্ব, মহাভারত
– অক্রোধ দ্বারা ক্রোধকে , সাধুতা দ্বারা অসাধুতাকে , দান দ্বারা কৃপনকে আর সত্য দ্বারা অসত্য কে জয় করবে ।
এতো কিছু পড়লাম, লিখলাম, বুঝতে চেষ্টা করলাম । কিন্তু পারলাম কই ।
এ তখনই বোধ হয় পারা সম্ভব তখন তৃষ্ণা বা তণহা থেকে মুক্ত হতে পারব । কারণ বুদ্ধ বলছেন,
‘ তসিণায় পুরকখতা পজা …
সঞঞোজনসঙগসত্তকা দুকখমুপেন্তি পুনপ্পুনং চিরায় ”
– তৃষ্ণা জড়িত জীব পাশবদ্ধ শশকের ন্যায় ধাবিত হয় । সেই বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পুনঃপুনঃ দুঃখ প্রাপ্ত হয় ।
অতএব আমার দুঃখের কারণ আমি নিজেই । আমার তৃষ্ণা আমাকে ছোটাচ্ছে ।
‘ভিকখু আকঙখী বিরাগমত্তনো ‘
– আকাঙ্খা হতে বিতরাগ হতে হবে ।
বুঝলাম । তবে বুঝলাম কি ? হয়তো বুঝব কোনও একদিন । হয়তো পারবোও কোনও একদিন ।

Related Posts

Leave a Reply