April 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

হোটেলে গোপন ক্যামেরায় পর্নোগ্রাফির শিকার ১৬০০

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ক্ষিণ কোরিয়ায় হোটেল রুমে অতিথিদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত গোপনে তুলে রাখা এবং সেই ফুটেজগুলো মোটা অংকের বিনিময়ে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এর শিকার হয়েছেন হোটেলে থাকতে আসা কমপক্ষে ১৬০০অতিথি।

গোপনে এসব ভিডিও করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছোট আকারের মিনি ক্যামেরাগুলো হোটেল কক্ষের টেলিভিশন, চুল শুকানোর হেয়ার ড্রায়ারের হাতল এবং প্লাগের সকেটে অভিনব কায়দায় বসানো হতো যেন খালি চোখে বোঝা না যায়।

অতিথিদের অজান্তে করা এসব ভিডিও থেকে দুষ্কৃতিকারীরা ৬ হাজার ২শ ডলারের মতো আয় করতো বলে জানা গেছে। গ্রেফতার ওই চার সন্দেহভাজন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং সেই সঙ্গে কয়েক হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গোপনে ক্যামেরায় ব্যক্তিগত মুহূর্ত ধারণের ঘটনা মহামারি আকারে বেড়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে সাধারণ মানুষ।

কোরীয় পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতিকারীরা গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি শহরের অন্তত ৩০টি হোটেলে এই মিনি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করেছিল বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে।

পুলিশ জানায়, গত নভেম্বরে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় যেখানে সেই গোপনে ধারণকৃত ফুটেজগুলো ছাড়া হয়। ভিডিওগুলোর প্রথম ৩০ সেকেন্ড ফ্রিতে দেখার সুযোগ পান ইউজাররা। এরপরের পুরো দৃশ্য দেখতে তাদের টাকা গুনতে হতো। মূলত এভাবেই চলতো এই অবৈধ ব্যবসা। দুষ্কৃতিকারীরা এ পর্যন্ত ৮শর বেশি ভিডিও ওই ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বিদেশে ওয়েবসাইট সার্ভার পরিচালনার আইনও তারা লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, এই মাসেই তারা ওই ওয়েবসাইটটি সরিয়ে ফেলে। তার আগ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিরা ৯৭ জন পেয়িং মেম্বারদের থেকে নিয়মিত আয় করতো।

মিডিয়া ক্যাপশন লুকানো এবং আপ স্কার্ট ক্যামেরা ব্যবহার দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিশাল সমস্যা। দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্নোগ্রাফি তৈরি ও প্রচার করা অবৈধ। তা সত্ত্বেও সে দেশের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার কারণে গোপনে চিত্রগ্রহণের হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়।

অনেক ভিডিও পোশাক পরিবর্তন কক্ষে এমনকি টয়লেটেও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে এসব ভিডিও ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৭ সালে এইধরনের গোপন ভিডিও ধারণের ছয় হাজার অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। ২০১২ সালে এধরনের অভিযোগের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের কাছাকাছি।

Related Posts

Leave a Reply