April 19, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি শারীরিক

এবার ফিসফিসানিও শুনতে পাবেন বধিররা 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
যারা বধির তাদের জন্য অপেক্ষা করছে সুসংবাদ, শুনতে পাবেন ফিসফিস কথাও। এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। সম্প্রতি কানে শুনতে পায়না এমন একদল ইঁদুরকে জিন থেরাপি দিয়ে তারা সফল হয়েছেন। গবেষক দলের দাবি, বধির প্রাণীর শব্দ শুনতে পারার আবিষ্কার ভবিষ্যতে মানুষের বধির সংক্রান্ত সমস্যার দ্বার উন্মুক্ত করল। ভবিষ্যতে এই থেরাপি মানুষের উপরও প্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নেচার বায়োটেকনোলজি নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেসব প্রাণী কানে শুনতে পায়না তাদের উপর দীর্ঘদিন থেকে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি তারা প্রায় ১০০টি ইঁদুর সংগ্রহ করেন যেগুলো জন্মগতভাবে শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত। ইঁদুরগুলোর উপর বিভিন্ন থেরাপি তারা প্রয়োগ করেন। এতেই সফলতার দ্বার উন্মুক্ত হয়।

গবেষক দলের সদস্যরা জানান, ইঁদুরগুলো জন্মগতভাবে কানের সমস্যায় আক্রান্ত ছিল, যেটাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ওসার সিনড্রোম বলা হয়। কানের ভেতরে থাকা সূক্ষ্ম চুলগুলো সাধারণত ইংরেজি শব্দ (V) আকৃতির হয়। কিন্তু ওসার সিনড্রোমে আক্রান্ত সূক্ষ্মগুলো সুগঠিত থাকে না এই কারণে এটা শ্রবণশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি বা প্রাণীর কানের অভ্যন্তরে কোষগুলো বিকৃতভাবে জন্মায়। যে কারণে কানের বাইরে থেকে তরঙ্গের মাধ্যমে ভেতরে পাঠানো শব্দ মস্তিষ্কে পৌঁছায় না।

বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের গবেষক ডা. জেফারি হল্ট বলেন, ‘আমরা এক ধরনের কৃত্রিম ভাইরাস কানের অভ্যন্তরে পাঠিয়েছি যেটা কানের অভ্যন্তরে ওই সংক্রামিত কোষগুলোকে পুনরায় সংক্রামণ করে। এতে করে কানের অভ্যন্তরে যে কোষ সৃষ্টি হয়েছে সেটা যথাযথ নির্দেশনা অনুসারেই হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি ইঁদুরগুলো প্রায় ২৫ ডেসিবল মাত্রার শব্দ শুনতে পাচ্ছে যেটা ফিসফিসিয়ে কথা বলার সমান। এই ধরনের শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধার আসলেই অপ্রত্যাশিত।’

এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের সদস্য ড. জিওনাইলি জেলক বলেন, ‘এই ধরনের পুনরুদ্ধারে আমরা সত্যিই বিস্মিত। ভবিষ্যতে মানুষের উপরও এই থেরাপি প্রয়োগ করা হবে।’

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কানের সমস্যা সমাধানে যে ভাইরাসটা ব্যবহৃত হয়েছে সেটা নিরাপদ কিনা। এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের সদস্য ড. হল্ট জানান, যে ভাইরাসটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা অ্যাডেনো প্রজাতির। এই ধরনের ভাইরাস এর আগেও বিভিন্ন ধরনের জিন থেরাপিতে ব্যবহার করা হয়েছে।

গবেষকদের দাবি এই থেরাপির কার্যকারিতা ছয় মাস পর্যন্ত থাকবে।

Related Posts

Leave a Reply