মরতেই হতো তাকে, রহস্য ভেদ করলেন কেমেরান
কলকাতা টাইমস
হিমেল রাতে সমুদ্রের কালো জলে ভাঙা দরজার ভেলা ঠেলতে ঠেলতে ঠান্ডায় জমে যাওয়া জ্যাকের শরীর তলিয়ে গেল— এ মেনে নেওয়া যায় না। রোজ কেন জ্যাককে তুলে নেয়নি সেই ভেলায়? ২০১৭-এ ২০ বছর পূর্ণ করেছে জেমস ক্যামেরনের ব্লকবাস্টার ছবি ‘টাইটানিক’। ২০ বছরের পর আবার জেগে ওঠে মানুষের ভালোবাসা, কৌতূহল। ‘টাইটানিক’-কে ঘিরে শুরু হয় আশ্চর্য সব বিতর্ক। এর মধ্যে সব থেকে বেশি কথা ওঠে নায়ক জ্যাকের মৃত্যু নিয়ে।
আজকের প্রজন্মও কিছুতেই মনে নিতে পারেনি ‘টাইটানিক’-এর ট্র্যাজিক উপসংহার। বার বার যুক্তি দেখিয়েছেন তারা— জ্যাক বেঁচে যেতই। তারা অঙ্ক কষেছেন। কারিগরি যুক্তি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে একটাই কথা বলেছেন— জ্যাকের মৃত্যুর কোনো কারণ ছিলো না। বার বার তারা উত্তর চেয়েছেন পরিচালকের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে এতদিন নীরবতাই পালন করে এসেছেন পরিচালক ক্যামেরন। এই প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুলতে চাননি কেন, বলা কঠিন। যাহোক, অ্যাদ্দিনে তিনি জানালেন তার মত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, অস্ট্রেলিয়ার একটি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন জানিয়েছেন, জ্যাককে মরতেই হতো। তিনি নিজেই চেয়েছিলেন এমন এক ছবি তুলতে, যার উপসংহার হবে বিষাদমধুর।
তিনি আরও চেয়েছিলেন, জ্যাকের জীবনীশক্তি রোজের মধ্যে সঞ্চারিত হোক। এই ভাবেই জ্যাক ‘বেঁচে থাকুক’। রোজের স্মৃতিতে সে চিরজাগরুক হয়ে থাকুক। এ আর এক রকমের বেঁচে থাকা।
তিনি আরও জানান, জ্যককে যদি বাঁচিয়ে রাখা হতো, তাহলে এই ছবিটাই ব্যর্থ হয়ে যেত। এ ছবির উপসংহার অর্থহীন হয়ে যেত। কারণ এই ছবিই বিয়োগান্তক। মৃত্যু আর বিচ্ছেদই এর উপজীব্য। শিল্পকে অঙ্ক কষে বোঝা সম্ভব নয়।
ক্যামেরনের এই উত্তরে গত নভেম্বর থেকে চলে আসা তর্কের অবসান ঘটল বলেই মনে করছেন ‘টাইটানিক’-রসিকরা।