কল্পনা নাকি হয়েছিল দেখা! মন্দির নগরী-র গায়ে ডাইনোসরের চিহ্ন করে প্রশ্ন!
কলকাতা টাইমস
পৃথিবীতে মানুষ আসার অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অতিকায় ডায়নোসররা | দুই প্রজাতি কোনওদিন মুখোমুখি হয়নি | কিন্তু এক প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে কী করে ডায়নোসরের ভাস্কর্য এল ? সে রহস্যের উত্তর আজও অধরা |
মন্দিরটি হল কম্বোডিয়ার বিখ্যাত আঙ্কোরভাট মন্দির | বিশ্বের হেরিটেজ সাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল দ্বাদশ শতকে | তখন কম্বোজ ছিল বৃহত্তর ভারতবর্ষ | শাসন করত খমে (Khmer) বংশ | তাঁরা ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর উপাসক | সেই বংশের রাজা সূর্যবর্মণের আমলে নির্মিত হয় আঙ্কোরভাট | প্রচলিত ভাষায় যার অর্থ মন্দির নগরী | ১৬২.৬ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত সেই শিল্প সুষমা | খমে বংশই প্রথম বৈষ্ণব প্রভাব আনেন জনমানসে | তার আগে অবধি শাসকরা ছিলেন শৈব | পরবর্তী কালে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে আঙ্কোরভাট হয়ে যায় বৌদ্ধ ধর্মস্থান |
আঙ্কোরভাট মন্দিরের গায়ে কয়েক হাজার ভাস্কর্য রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে পিঠে কাঁটাওয়ালা তৃণভোজী ডাইনোসর স্টোগোসরাসের প্রতিকৃতি দেখা যায়। প্রসঙ্গত, স্টেগোসরাসের জীবাশ্ম প্রথম আবিস্কৃত হয় মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোয় ১৮৭৭ সালে।
তাহলে প্রশ্ন হল‚ তারও ছশো বছর আগে কী করে মানুষের তক্ষণে উঠে এল ডায়ানোসরের অবয়ব ? শুধুই কল্পনা ? নাকি সে যুগেও আবিষ্কৃত হয়েছিল অতিকায় প্রাগৈতিহাসিক কোনও জীবাশ্ম ? যা দেখে আমাদের পূর্বসুরীরা ভেবে নিয়েছিল কেমন দেখতে ছিল ওই প্রাণীরা ? তারপর রূপ দিয়েছিল ছেনি বাটালি হাতুড়ির মাধ্যমে | সেই রহস্যের উপর থেকে পর্দা আজও ওঠেনি | কেবল আঙ্কোরভাট দাঁড়িয়ে আছে বিস্ময়ের ভাণ্ডার নিয়ে|