বিষ ইনজেকশন দিয়ে ৪৮ জন রোগীকে খুন করলেন এক নার্স !
কলকাতা টাইমসঃ
বিষ ইনজেকশন দিয়ে ৪৮ জন রোগীকে মেরে ফেললেন একজন নার্স৷ ঘটনাটি ঘটেছে জাপানে৷ খুনের পেছনে কারণ হিসেবে সেই নার্স জানায়, কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর তাদের প্রিয়জনদের কাছে গিয়ে জানাতে তার ভালো লাগতো না৷ সেই কাজ এড়াতে অন্য নার্সের ডিউটির সময় যাতে সেই রোগী মারা যায়, তার ব্যবস্থা করে দিতেন তিনি৷
পুলিশের কাছে এই কথা স্বীকার করেছেন ৩১ বছরের আয়ুমি কুবোকি৷ তাএ পরতো কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ৮৮ বছরের সোজো নিশিকাওয়ার মৃত্যুতে কুবোকির ভূমিকা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ২০১৬ সালে ওগুচি হাসপাতালে সেই বৃদ্ধার শরীরে অ্যান্টিসেপটিক ইনজেক্ট করে অভিযুক্ত নার্স৷ নিজের দায়িত্ব থেকে রেহাই পেতে কুবোকি তাদের টার্গেট করত যারা খুব তাড়াতাড়ি মারা যাবে৷ আর সেই রোগীকে বিষ দেওয়ার পর কুবোকি যখন হাসাপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় থাকতোনা তখনই সেই রোগীর মৃত্যু হত৷ ফলে রোগীর পরিবারকে খবর দেওয়ার সময় কুবোকি উপস্থিত থাকতেন না৷ দায়িত্ব গিয়ে পরতো সেই সময় কর্তব্যরত অন্য নার্সের ওপর৷
তবে পুলিশ মনে করছে, কুবোকি শুধু মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকেই বিষক্রিয়ার মেরে ফেলত তা সত্যি নয়৷ হয়ত যারা মারা যাওয়ার মত রোগী নয় তেমন রোগীদেরও ইনজেকশন দিয়ে মেরে থাকতে পারে কুবোকি৷ নিশিকাওয়া মারা যান ২০১৬ এর ১৮ই সেপ্টেম্বর৷ তার দু’দিন পরই ওই হাসপাতালেরই ওই একই ঘরের আরেক রোগী ৮৮ বছরের নোবউ ইয়ামাকিরও মৃত্যু হয়৷ দীর্ঘ তদন্তের পর সম্প্রতি এই তথ্য উঠে আসে পুলিশের কাছে।
এই দুই মৃত্যুর পেছনে তার হাত রয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় কুবোকি৷ সে জানায় চিকিৎসা চলছিল এমন২০ জন রোগীর ইনটারভেনাস ড্রিপ ব্যাগে সে এই অ্যন্টিসেপটিক ইনজেকশন দিয়ে দেয়৷ আরও কমপক্ষে ১০ টি এমন ব্যাগ পাওয়া যায় যাতে ছোট ছিদ্র করা ছিল৷ ইয়োকোহোমা হাসপাতালে কমপক্ষে ৪৮ জন রোগীকে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এভাবে মেরে ফেলে কুবোকি৷ ২০১৬ এর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঘটিয়ে ফেলে সে এতগুলো মৃত্যু৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তদন্ত শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সে চালাতে থাকে তার এই খুনের প্রক্রিয়া৷
কুবোকি প্রথমে এই পুরো খুনের বিষয়টিই অস্বীকার করে৷ পুলিশ প্রথমে তদন্ত করতে নেমে রোগীদের মৃত্যুর সময় যে নার্স ডিউটিতে ছিল এবং রোগীর বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ দিত তাকেই সন্দেহ করে৷ কিন্তু কুবোকি জানায় “আমি রোগীদের শান্তিতে মরতে সাহায্য করেছি মাত্র।