November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ওপার বাংলা বিনোদন

জানেন কি হ‌ুমায়ূন আহমেদের শুটিংয়ে আয়নাকে ভয় পেতেন  শিল্পীরা!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শুটিং সেটে শিল্পী-কুশলীদের দেরিতে আসা কিংবা মেকআপ রুমের আয়নার সামনে শিল্পীদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই বিপাকে পড়েন পরিচালকরা।
তবে হ‌ুমায়ূন আহমেদের সেট ছিল একেবারেই ব্যতিক্রম। যে শিল্পী ঘুম থেকে উঠতেন বেলা ১১টায়, তিনিও নাকি ভোরবেলায় হাজির হতেন এই নন্দিত নির্মাতার সেটে। আবার অনেক শিল্পী সেটে এসে আয়না থেকেও দূরে থাকতেন। এর কারণটা ছিল শ্রদ্ধা।
বর্তমানে নিজের পরিচালনার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তার ভাষ্যটা এমন, ‘এখন তো অনেক সমস্যাই আমাকে ফেস করতে হয়। হয়তো আর্টিস্টকে আয়নার সামনে থেকে তুলতেই পারছি না। অথচ হ‌ুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রে একেবারে উল্টোটা দেখেছি। যে শিল্পী বেলা ১১-১২টার আগে ঘুম থেকে উঠতেন না, সেও একেবারে সকালে চলে আসতেন। উনার (হ‌ুমায়ূন আহমেদ) শুটিং ইউনিটে শিল্পীরা আয়না থেকে দূরে রাখতেন, দেখতেন না।’
শুধু শ্রদ্ধাবোধ থেকেও নয়, হুমায়ূন আহমেদের শুটিং ইউনিট মানে মজার কোনও অভিজ্ঞতা পাওয়ার বড় ক্ষেত্র।
১৯৯৭ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন তার নন্দনকানন নুহাশপল্লী। নিজের অবকাশ কাটানো ছাড়াও শুটিং স্পট হিসেবে এটি তিনি ব্যবহার করতেন। শুরুর সে সময় নাটকের শুটিংয়ের জন্য যত সেট নির্মাণ করা হত সব রাতের বেলায় ভেঙ্গে পড়ত।
হ‌ুমায়ূন আহমেদ এর একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করান। বলেন, এ স্থানটিতে আসলে ভূতেরা বসবাস করে। আবাস হারানোর কারণে তারা এ কাণ্ড করছে। এরপর ভূতদের জন্য আবাসস্থল গড়ে তোলেন তিনি। নুহাশপল্লীর দীঘি লীলাবতীর দক্ষিণ পাশে কামরাঙ্গা বাগানের সঙ্গে তিনি তেঁতুল গাছ লাগান ভূতের জন্য! শুধু তাই নয়, সেখানে ভূত বিলাস নামের একটি ভবনও তৈরি করেন!
এরপর নাকি, সেই তেঁতুল বাগান অনেক শিল্পীরাই ভূতের মুখোমুখি হয়েছেন।
অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়সহ হ‌ুমায়ূনের কাছের আরও দু’একজন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এগুলো সব ছিল প্রতিভাবান এ লেখকের মজা করার কৌশল।
তার একটি ভূত বাহিনী দিয়ে এ কাজগুলো তিনি করতেন। উদ্দেশ্য ছিল, রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেওয়া ও মজা করা।

Related Posts

Leave a Reply