ভূতের দেখা হয়েছে এই বলিউড তারকারা
অশুভ প্রেতাত্মা কিংবা ভূত যাই বলেন না কেন, এতে পুরোপুরি অবিশ্বাস আনতে পারে না মানুষ। বিশেষ করে যারা ব্যাখ্যাতীত এবং অপ্রাকৃতিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন তারা এমন কিছু আছে বলেই বিশ্বাস করেন। এর পেছনে বিজ্ঞান কী ব্যাখ্যা দেয় তা পরের বিষয়। অনেস সুস্থ-সবল মানুষ সুস্থ মস্তিষ্কে এসব ঘটনা চোখের সামনে দেখেছেন বলে অনেক গল্প রয়েছে। বিশ্বাস না হলে আপনার অনেক প্রিয় তারকাকেই জিগেশ করে দেখুন না। তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বদলে দেবে আপনার বিশ্বাস।
বরুণ ধাওয়ান : ‘এবিসিডি ২’ এর শুটিংয়ের সময় হোটেলে থাকতেন বরুণ। ওই হোটেলটি কিংবদন্তি গায়ক ফ্রাঙ্ক সিতাত্রার খুব প্রিয় ছির। বরুণ এমন এমটি স্যুইটে ছিলেন, যেটায় ওই গায়কের প্রেতাত্মা ঘুরে বেড়ায় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। একদিন সারাদিনের শুটিং শেষে ক্লান্তদেহে বরুণ ফিরলেন হোটেল কক্ষে। রাতে তিনি স্পষ্ট শুনলেন কিছু অস্বাভাবিক শব্দ। বাতাস ছাড়াই দরকা একাই খোলে আর বন্ধ হয় বেশ কয়েকবার। পরে বরুণ জানান, এসব ঘটনার সঙ্গে অদ্ভুত গলায় গানও শুনেছি আমি।
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি : বিপাশা বসুর সঙ্গে ‘আত্মা’ ছবির শুটিং করছিলে নওয়াজুদ্দিন। কিন্তু সেখানে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনার মুখোমুখি হলেন তিনি। মনে হচ্ছিল তার চারপাশে কেউ একজন আছে। এমন ঘটনা অবশ্য সেটের সবাই দেখেছেন। এমনকি বিপাশাও শুনেছেন যে, শুটিংয়ের সময় কোথা থেকে যেন এক নারী গান গাইছেন। ওটা রেকর্ডও করা হয়, কিন্তু পরে বাজালে আর শোনা যায় না। শুটিংয়ের আরেক মুহূর্তে ঘটে এক ঘটনা। নওয়াজুদ্দিনের পেছনের দেয়ালের ছবিটা পড়ে যায়। অথচ কক্ষে কোনো বাতাস ছিল না। ঝোলানোর তারকাঁটাও পড়ে যায়নি, কিংবা ফ্রেমের তারও ছেড়েনি।
বিপাশা বসু : ‘গুনাহ’ ছবির শুটিংয়ে গা ছমছমে অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারেন না বিপাশা। মুকেশ মিলে শুটিং চলছিল। সেখানকার নির্দিষ্ট কিছু কক্ষে বিপাশা তার ডায়ালগ বলতে পারতেন না। এর আগে আরেকটি ছবির শুটিংয়ে এক নায়িকার ভাগ্যে এমন ঘটেছিল। দুই একটি কক্ষে শুটিংয়ের পর মনে হয়েছিল তার ওপর আত্মা ভর করেছে।
ইমরান হাশমি : তিনিও ভূতুড়ে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে অবসরযাপনে গিয়েছিলেন ইমরান। একরাতে হঠাৎ কক্ষের আশপাশ থেকে আর্তচিৎকার শুনতে পেলেন। অথচ কাছেধারে কেউ নেই। ভয় পেয়ে যান তারা। রাতে ঘুমাতে পারেননি। মাঝে মাঝেই এমন চিৎকার আসছিল।
রণবীর সিং : খুবই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বাজিরাও মাস্তানি ছবির শুটিংয়ে ওই অভিজ্ঞতাই আমাকে রাতে ঘুমাতে দিতো না। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারতাম যে কেউ একজন আমার কাছে কাছে ঘুরে বেড়ায়। শুটিং সেটে একটা কালো দেয়াল ছিল। সেখানে প্রায়ই দেখতাম সাদা ধুলো এমনভাবে মেখে রয়েছে যে তা সত্যিকারের বাজিরাওয়ের চেহারা ফুটিয়ে তুলতো।
গোবিন্দা : তার অভিজ্ঞতা সত্যিই সিনেমার মতোই ভয়ংকর। এক পাহাড়ি এলাকায় শুটিংয়ের সময় হোটেলে ছিলেন। একরাতের কথা কখনো ভুলতে পারবেন না। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখেন যে তার বুকের ওপর ওক নারী বসে রয়েছেন। মুহূর্তেই নেই! সকালে উঠে দেখতেন, ঘর এলোমেলো হয়ে রয়েছে।