September 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular সফর

যাবেন নাকি মানুষের তৈরী এই স্বর্গ উপভোগ করতে

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

চারদিকে ক্রিস্টালের মতো স্বচ্ছ টলটলে জল । সেই সঙ্গে রয়েছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কিছু স্থান। এ কারণে বর্তমানে ইয়াস দ্বীপ বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। সেখানে গেলে ভ্রমণের স্মৃতি আজীবন থেকে যাবে। আবুধাবির মানুষ সৃষ্ট এই আইল্যান্ডটি প্রকৃতির মতোই সুন্দর। যারা মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের চিন্তা-ভাবনা করছেন, তারা গন্তব্য করতে পারেন এই দ্বীপটিকে।

অ্যান্ড্রিনাল হরমোনের ক্ষরণ ঘটতে চাইলে ইয়াস মেরিনা সার্কিটে যেতে হবে। এটাই দ্বীপের প্রথম দর্শনীয় স্থান। সেখানে আবুধাবি গ্র্যান্ড প্রিন্ডের সাইট এবং শব্দ দুটোই উপভোগ করতে পারবেন। সেখানে ট্র্যাকে আপনিও বিনোদনের জন্যে রেসার বনে যেতে পারবেন। এখানে এলে রোমাঞ্চকর উত্তেজনা চূড়ায় উঠবেই।

গোটা পরিবারের ব্যাপক বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে। আর এখানেই আছে বিস্ময়কর ফেরারি ব্র্যান্ডেড পার্ক। সেখানে আছে ফেরারির থিমপূর্ণ বিভিন্ন রাইড। সেখানে উঠতে পারেন পরিবার নিয়ে। এই পার্কের রাইড এবং ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা কখনও ভোলার নয়। শিশুদের বাড়তি আনন্দের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা রেখে ফেরারি।

এই পার্কে রয়েছে পৃথিবীর একমাত্রা রাইড যেটাতে চড়ে ফেরারির ফর্মুলা ওয়ানের চেয়ে দ্রুত গতিতে ছুটতে পারবেন। এই রাইডে চড়ুন, চোখে গগলস লাগান আর ছুটুন, গতি ৪.৯ সেকেন্ডে পৌঁছে যাবে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার।

ইয়াসের ওয়াটার ওয়ার্ল্ড মনোমুগ্ধকর। এই জগতটি তৈরি হয়েছে ‘দ্য লিজেন্ড অব দ্য লস্ট পার্ল’ এর থিমে। এটা কিন্তু পৃথিবীর একমাত্র থিমপার্ক যেখানে আমিরাতের ঐহিত্য ফুটে উঠেছে। বিশাল এক পার্ক। এখানে আছে ৪০টিরও বেশি রাইড, স্লাইড এবং আকর্ষণীয় আরো অন্যান্য জিনিস। আমিরাতের পার্ল ডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা এখানেও মিলতে পারে। তেমনই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেখানে। সত্যি সত্যিই আপনি গভীরে ডুব দিয়ে মুক্তো সংগ্রহের জন্যে ঝিনুক তুলে আনতে পারেন। যদি মুক্তো মিলে যায়, তো এগুলো বাড়িতে নিতে পারবেন সেখানে ভ্রমণের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।

স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে বিলাসী রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। আছে ক্যাফে আর লাউঞ্জ। যেখানেই খিদে পাক না কেন, আশপাশেই রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। এই এক দ্বীপেই ১৬০টি রেস্টুরেন্ট মিলবে। এগুলোতে ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন কুজিন মিলবে।

কোনো বিষেশ দিন বা সময়ের দরকার নেই। ইয়াস দ্বীপ সবসময় পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত। সারা বছর ধরেই চলে উৎসবের আমেজ। তাই যখন সময় ও সুযোগ হয় তখনই রওনা দিতে পারেন ইয়াস আইল্যান্ড। মানুষের তৈরি করা এক সত্যিকার স্বর্গ যেন।

Related Posts

Leave a Reply