ক্লাব ট্র্যান্সফার ফি -র সেরা ১০ রোজগার!
কলকাতা টাইমসঃ
সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক হয়ে বিশ্বকাপের পর এএস রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান আলিসন। তাঁকে বিক্রি করে রোমার লাভ ৫৭.৯ মিলিয়ন পাউন্ড। কারণ দুই বছর আগে আলিসনকে মাত্র ৭.১ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনেছিল তারা। ট্রান্সফারের এই রকম ১০টি সেরা লেনদেন নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
এমেরিক লাপোর্তা (৫৭.২ মিলিয়ন পাউন্ড, অ্যাথলেতিক বিলবাও) : স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের স্কাউটরা খুঁজে পেয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্তাকে। বয়স অনেক কম হওয়ায় ২০০৯ সালে আসতে পারেননি স্পেনে। পরের বছর চলে আসেন তিনি। বেড়ে উঠেছেন এখানকার একাডেমিতে। ২৪ বছর বয়সী এই সেন্টার ব্যাককে এই বছর জানুয়ারিতে ৫৭.২ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনে নেয় পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। লাভ পুরোটাই।
আলিসন (৫৭.৯ মিলিয়ন পাউন্ড, এএস রোমা) : ২০১৬ সালে ব্রাজিলের ইন্টারন্যাশিওনাল থেকে ৭.১ মিলিয়ন পাউন্ডে আলিসনকে কিনেছিল এএস রোমা। গত মরসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ আর এ বছর বিশ্বকাপে আলো ছড়ানোয় তাঁর জন্য ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব পাঠায় লিভারপুল। রোমা কিংবদন্তি ফ্রান্সেসকো তোত্তি পর্যন্ত বলে বসেন, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার উপায় নেই রোমার। দুই বছরের ব্যবধানে রোমার লাভ ৫৭.৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
রিয়াদ মাহারেজ (৫৯.৬ মিলিয়ন পাউন্ড, লিস্টার সিটি) : স্প্যানিশ ক্লাব লে হারভে থেকে ন্যূনতম দামে রিয়াদ মাহারেজকে কিনেছিল লিস্টার সিটি। জেমি ভার্ডির সঙ্গে তাঁর জুটিতে রূপকথা গড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল লিস্টার সিটি। আলজেরিয়ান এই উইঙ্গারকে কিছুদিন আগে ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো (৬৭.৮ মিলিয়ন পাউন্ড, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে) : স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের জহুরি চোখ ঠিকই আবিষ্কার করেছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডোকে। স্পোর্তিং লিসবন থেকে ১২.২ মিলিয়ন পাউন্ডে ২০০৩ সালে তরুণ রোনাল্ডোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিয়ে আসেন তিনি। রোনাল্ডো বিখ্যাত হন এখানেই। জেতেন চ্যাম্পিয়নস লিগ আর একটি ব্যালন ডি’অর। এরপর ২০০৯ সালে তখনকার রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে রিয়াল কিনে নেয় তাঁকে।
গ্যারেথ বেল (৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড, টটেনহাম) : ২০০৭ সালে সব মিলিয়ে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে টটেনহাম কিনেছিল গ্যারেথ বেলকে। ছয় বছর পর তখনকার বিশ্বরেকর্ড ৮৫ মিলিয়ন পাউন্ডে তাঁকে কিনে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। টটেনহাম ব্যবসা করে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড।
উসমান দেম্বেলে (৮১ মিলিয়ন পাউন্ড, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড) : ২০১৬ সালে রেনে থেকে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়েছিলেন ফরাসি এই তরুণ। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর তাঁকে কিনতে মরিয়া হয়ে ওঠে কাতালন ক্লাবটি। প্রাথমিক চুক্তি ৯৬.৮ মিলিয়ন পাউন্ড, তবে সেটা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৩৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। তাতে বরুশিয়ার লাভ ৮১ মিলিয়ন পাউন্ড।
পল পোগবা (৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড, জুভেন্টাস) : ২০১২ সালে বিনা মূল্যেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে দিয়েছিল পল পোগবাকে। চার বছর পর সেই পোগবাকে ইংলিশ ক্লাবটি কেনে তখনকার বিশ্বরেকর্ড ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে! খেলোয়াড় চিনতে না পারার ভুলের দাম এভাবেই দেয় ম্যানইউ।
ফিলিপে কৌতিনিয়ো (১৩৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, লিভারপুল) : ইন্টার মিলান থেকে মাত্র ৮.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ফিলিপে কৌতিনিয়োকে কিনেছিল লিভারপুল। তাতে খুশিই ছিল ইন্টার। কারণ তারা মাত্র ৪ মিলিয়ন পাউন্ডে ব্রাজিলের ভাস্কো দা গামা থেকে কেনে এই মিডফিল্ডারকে। দ্বিগুণ লাভ। কিন্তু লিভারপুল যে আকাশছোঁয়া দাম পাবে কে জানত? ১৪৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে তাঁকে কিনেছে বার্সেলোনা।
নেইমার (১৪৯ মিলিয়ন পাউন্ড, বার্সেলোনা) : নেইমারের পিএসজিতে নাম লেখানোর পর বদলে গেছে পুরো দলবদল বাজারের ছবিটা। ১০০ মিলিয়ন ইউরো অঙ্কটাও এখন সাধারণ! কারণ পিএসজি তাঁকে কিনেছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো বা ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডে। অথচ তাঁকে ৫১ মিলিয়ন পাউন্ডেই ছেড়ে দিয়েছিল সান্তোস।
কিলিয়ান এমবাপ্পে (১৬৬ মিলিয়ন পাউন্ড, মোনাকো) : গত মৌসুমে ধারে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেই চুক্তিতেই ছিল সব মিলিয়ে ১৬৬ মিলিয়ন পাউন্ডে পরের মৌসুমে তাঁকে পাকাপাকি কিনে নেবে প্যারিসের দলটি। নইলে ‘ফেয়ার প্লে’ আইনে ফেঁসে যেত পিএসজি। পুরো টাকাটাই লাভ মোনাকোর। কারণ তাদের একাডেমিতেই বেড়ে ওঠা এই বিস্ময় তরুণের।