প্যালিস্তিনের প্রতিবাদী কিশোরী তামিমিকে আজ মুক্তি দিলো ইসরায়েল
কলকাতা টাইমসঃ
আহেদ তামিমি। প্যালিস্তিনের পশ্চিম তীরের বাসিন্দা তামিমি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী মুখ। দখলদার ইসরাইলি সেনাদের চড় থাপ্পড় ও লাথি মারার অভিযোগে গত বছর তাকে আটক করা হয়েছিল। রবিবার ইসরায়েলের শ্যারন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হলো আহেদ তামিমিকে।
ইসরায়েলের এক কারা মুখপাত্র বলেন, শ্যারন কারাগার থেকে তামিমি মুক্তি পেয়েছে। সে তার গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। এর আগে, পশ্চিমতীরে তার গ্রাম নাবি সালেহে নিজের পরিবারের ওপর বিনাকারণে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তামিমি দুই সেনার ওপর চড়াও হন। তিনি সেনাদের চড় ও লাথি মারেন। এ ঘটনার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে গেল তিনি প্রতিবাদের জন্য দারুন প্রশংসা কুড়োন। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তাকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় তামিমির মা নারিমান এবং তার এক খুড়তুতো বোন নাওরকেও আটক করা হয়।
আহেদের বাবা বাসেম আল তামিমি বলেন, তার মেয়ের ১৯ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার মুক্তির দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। বিশেষ কারণে ইসরাইলি কারা কর্তৃপক্ষ কারও সাজার মেয়াদ কমিয়ে আনতে পারে। গত মার্চে সেদেশের সামরিক আদালত তাকে আট মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। প্যালিস্তিনিরা জানিয়েছেন, সাড়ে ছয় হাজারের বেশি প্যালিস্তিনিইসরাইলের কারাগারে আটক রয়েছেন। যাদের মধ্যে সাড়ে তিনশরও বেশি শিশু।
বিচারের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই সাহসী কিশোরী বলেছিলেন, আমিই হানাদার সেনাদের চড়িয়েছি, লাথি দিয়েছি। তখন সে জানায়, অবৈধ দখলদারদের অধীনে কোনো ন্যায়বিচার হতে পারে না। এরপর ইসরাইলি আদালত আহেদকে আট মাসের কারাদণ্ড ও ১৪০০ ডলার জরিমানা করেছিল।ইসরাইলি আইনজীবী লাস্কি আইনি প্রক্রিয়াকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে জানিয়েছিল, আহেদের মতো অন্য প্যালিস্তিনি তরুণদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ থেকে দূরে রাখতেই তাকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে।