মাত্র দুই সপ্তাহে শুধু ব্রণ’ই নয় অনেক সমস্যা দূর হবে এই একটি উপায়ে
কলকাতা টাইমস :
ব্রণ দূর করার জন্য একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি উপায় কাজ করে। কারও মুখে এত বেশি ব্রণ হয় যে তা ওষুধ ছাড়া যায় না, কারও কারও ক্ষেত্রে ঘরোয়া ফেসপ্যাক কাজে আসে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট পপসুগারের লেখিকা জেনি সুগারের ক্ষেত্রে কোনো কিছুই কাজ করছিল না। প্রায় কাকতালীয়ভাবেই ব্রণের একটি প্রতিকার খুঁজে পান তিনি। আর তা হলো খাবার থেকে চিনি বাদ দেওয়া।
জেনি সুগার ব্রণ নিয়ে বেশ ঝামেলায় ভুগছিলেন। টিনেজ বয়স পার হয়ে যাবার পরেও তার ত্বক থেকে কখনোই ব্রণ পুরোপুরি দূর হতো না। পুরো মুখজুড়ে ব্রণের উপদ্রব ছিল না বটে। কিন্তু সবসময়েই দুই-একটা বড়, লাল এবং ব্যথাযুক্ত ব্রণ থাকত মুখে। একটা ব্রণ দূর হলে সেটার জায়গায় আরেকটা উঠত। ৩০ বছর বয়সেও এই বিব্রতকর সমস্যাটি নিয়ে চলছিলেন তিনি। এর মাঝেই তিনি দুই সন্তানের জন্ম দেন। গর্ভবতী অবস্থায় ব্রণ দূর হলেও সন্তান প্রসবের কিছুদিন পরেই আবার ব্রণ ফিরে আসে।
এভাবেই চলছিল। তবে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এই নিয়মে ছেদ পড়ে। কয়েক মাস ধরে পেট ফাঁপা সমস্যায় ভুগছিলেন জেনি। পেটের সমস্যা দূর করতে তিনি এক মাস চিনি না খেয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। দুই সপ্তাহ পর তিনি দেখেন, তার পেটের অবস্থা তো ভালো হয়েছেই, এর পাশাপাশি তার ত্বক কোমল, মসৃণ হয়ে উঠেছে। ত্বকে একটিও ব্রণ নেই! তিনি প্রতিদিন সকালে আয়না দেখতেন এবং ব্রণের আশঙ্কায় ভুগতেন। কিন্তু পুরো মাস তার মুখে কোনো ব্রণ ছিল না।
এক মাস পার হবার পর জেনি আবারও চিনি খাওয়া শুরু করলেন। ফলাফল হিসেবে তার পেটের সমস্যা শুরু হলো এবং ত্বকেও আবার ব্রণ দেখা দিলো। এবার তিনি বুঝতে পারলেন, আসলে চিনি খাওয়ার জন্যই তার ব্রণ হচ্ছিল। এরপর তিনি চিনি খাওয়া আবারও বাদ দিলেন। মিষ্টি খাবার যেমন কেক বা কুকি তৈরির জন্য ব্যবহার শুরু করলেন খেজুর এবং কলা। এখনও তিনি মাঝে মাঝে চিনি দেওয়া খাবার খান, তবে তা খুবই বিরল।
যাদের ব্রণ কোনোভাবেই যাচ্ছে না, তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। চিনি বাদ দেবার পর ত্বকের তো উপকার হবেই, এর পাশাপাশি আপনার কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর হতে পারে।