৫ ক্রীড়াবিদ যারা রাজনীতিতেও সফল
কলকাতা টাইমসঃ
খেলার মাঠ ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন বহু বছর আগে। এবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছেন ইমরান খান। বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্বলিত দেশের নেতা হয়ে উঠেছেন তিনি। অবশ্য তিনি একাই নন, খেলা থেকে রাজনীতিতে আসা মানুষের তালিকা নেহাত কম নয়। এখানে পাঁচজন খেলোয়াড়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হলো, যারা পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন।
জর্জ ওয়েহ; ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণের ঠিক আট মাস আগে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন জর্জ ওয়েহ। মনরোভিয়ার বস্তিতে অন্য শিশুদের সাথেই বলে লাথি মারতে মারতে আফ্রিকার অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন হয়ে উঠেছিলেন জর্জ। শীর্ষস্থানীয় ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে খেলে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় এবং ব্যালন ডি’অর উভয় খেতাবই জেতেন।
২০০৪ সালে লাইবেরিয়াতে প্রাণঘাতী গৃহযুদ্ধ থেকে কোনো রকমে বেঁচে যান তিনি। লাইবেরিয়ার বেশিরভাগ অংশই ধ্বংস করে দিলেও জর্জের সম্পদ ও খ্যাতি নষ্ট করতে ব্যর্থ হয় এই গৃহযুদ্ধ। ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্টের পদে ভোটে লড়েও ব্যর্থ হন তিনি। ১২ বছর পর তিনি জয়লাভ করেন। শিক্ষা, চাকরি এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নের বিষয়েই জোর দিয়েছিলেন তিনি।
আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার; রঙিন পর্দা এবং রাজনীতির আগে অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার ছিলেন বিশ্বের সেরা বডিবিল্ডারদের মধ্যে অন্যতম। পরে তিনি অভিনয়ের জগতে ঢুকে পড়েন। একজন মধ্যপন্থী রিপাবলিকান হিসেবে তিনি ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হন এবং টানা দু’বার ওই পদেই নির্বাচিত হন।
ম্যানি প্যাকুইয়াও; বক্সার ম্যানি প্যাকুইয়াও ফিলিপাইনের অন্যতম আইকন। আটটি ভিন্ন বিভাগে ১২ টি বিশ্ব শিরোপা বিজয়ী ম্যানি সফলভাবে তার বক্সিং খ্যাতিকে রাজনৈতিক কর্মজীবনের কাজে লাগিয়েছেন। তিনি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে নির্বাচিত হন এবং তারপর ২০১৬ সালে সেনেটেও নির্বাচিত হন। প্যাকুইয়া একটি আন্তর্জাতিক সাক্ষাৎকারে সমকামীদের সঙ্গে পশুদের তুলনা করলে গোটা বিশ্ব তার সমালোচনা শুরু করে। পরে নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে তিনি বাইবেলের কথাও উদ্ধৃতি হিসেবে টেনে আনেন।
ভিটালি ক্লিটস্কো: হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ক্লিটস্কো একজন ইউক্রেনীয় বিরোধী নেতা এবং বর্তমানে কিয়েভের মেয়র পদে আসীন। তিনি পৃথিবীর বক্সিং সার্কিটের একজন শান্ত বুদ্ধিজীবী হিসেবেই পরিচিত। বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী, স্পোর্টস সায়েন্সে পিএইচডি করা ভিটালি অবসর কাটাতে ভালোবাসেন দস্তয়ভস্কির উপন্যাস পড়ে।
অর্জুন রানাতুঙ্গা; শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার অবসর গ্রহণের পর পরই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, বিরোধী দলে আসার আগে কিছু সময়ের জন্য জুনিয়র পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন অর্জুন। ২০১৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রানাতুঙ্গা শ্রীলংকার দূর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সরব হয়েছেন।