এই রাজার মেনুতে ছিল রোজ একটু বিষ আর সঙ্গে ৩৫ কেজি খাবার
কলকাতা টাইমস:
খুব কম মানুষই আছেন যারা এই রাজার খাবার খবর রাখেন । দিনে ৩৫ কেজি খাবার খেয়ে হজম করে নিতেন তিনি। খবরটা কিন্তু তার এই ৩৫ কেজি খাওয়ার নয়, তিনি খাওয়ার খেতেন বিশেষ এক কারণে আর সেটাই খবর। আসলে রোজ তিনি বিষ পান করতেন আর সেই বিষ হজম করতেই এই খাবারের বহর। ইনি কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। ছিলেন ভারতের সুলতান। মেহমুদ বেগাদা (মেহমুদ শাহ ১) ভারতের বর্তমান গুজরাট প্রদেশে রাজত্ব করতেন। ১৪৫৮ থেকে ১৫১১, প্রায় ৫৩ বছর রাজত্ব করেছিলেন তিনি। নিজের জমানায় আর কিছু তিনি করুন বা না করুন, চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতেন। খেতে তিনি খুব ভালবাসতেন। তেমনই ছিল তার বাহুবল। ।
৩৫ কেজি খাবার কম কথা নয়। কিন্তু তার থেকে আরও মারাত্মক ছিল তাঁর ডায়েট চার্ট। খাবারের মেনুতে তিনি রোজ রাখতেন বিষ। ভাবছেন বিষ তো মানুষকে মেরে ফেলে! তাহলে সেই সুলতান কেমন করে বেঁচে ছিলেন? ওখানেই তো ছিল তাঁর বিশেষত্ব। রোজ একটু একটু করে বিষ খেতেন তিনি। হজমও করে ফেলতেন। কোনও বিষ যাতে তাঁর শরীরের কোনও প্রভাব না ফেলে, তার জন্য এই রাস্তা নিয়েছিলেন সুলতান। তখন রাজনৈতিক মস্তিষ্ক কত সূক্ষ্ম বিচার করত, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
ব্রেকফাস্টে এক কাপ শুধু মধুই খেতেন সুলতান। তার সঙ্গে থাকত মাখন আর ৫০টি কলা। প্রতিদিন ৩৫ কেজি খাবার ছিল তাঁর বাঁধাধরা। কোনও কোনও দিন তা ৩৭ কেজিও হয়ে যেত। তাঁর ডেজার্টের ওজনই ছিল কয়েক কিলো। রোজ খাবারের পর এই ডেজার্ট থাকত তাঁর মেনুতে। মোটামুটি ৪.৬ কেজির হত ডেজার্টের ওজন।
এত কিছুর পরও কিন্তু রাতে খিদে পেত সুলতানের। ডিনারের পর তাঁর জন্য থাকত দুটো বড় থালা ভরতি মাংসের সিঙাড়া। রাতে খিদে পেলে তিনি সেসব খেতেন।
শুনে মনে হতে পারে, এসব একেবারই গল্প কথা। ইউরোপের একাধিক পর্যটকের কাছ থেকে জানা গিয়েছে এই কথা। বারবোসা ও ভার্থেমা এই সাম্রাজ্য ও সুলতানের কথা উল্লেখ করেছেন।