বহু বছর ধরে জনশূন্য গ্রামটি ঢেকে আছে সবুজে
গাছপালা আর পাতা-লতায় ছেয়ে গেছে গ্রামটি। গ্রামের প্রতিটি ঘর ও পথঘাট ঢেকে গেছে গাছগাছালিতে। আর গ্রামটিও একেবারে জনমানবশূন্য। চীনের সাংহাই থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে শেঙশান দ্বীপে অবস্থিত এ গ্রামটির নাম হাউটওয়ান। ৫০০ বর্গকিলোমিটারের এ গ্রামটিতে একসময় মানুষের সমাগম ছিল। ১৯৫০ সালে পাহাড়-ঘেঁষে গড়ে ওঠা গ্রামটির পথঘাট ছিল ঝকঝকে-তকতকে।
আরও পড়ুন : নরপিশাচ আর রক্তচোষারা বিখ্যাত করেছে এই অখ্যাত গ্রামটিতে
নিউ ইয়র্ক পোস্ট থেকে জানা যায়, ধারণা করা হয় পাহাড় কেটে তৈরি হওয়া গ্রামটিতে বসবাস করতেন প্রায় দুই হাজারেরও বেশি জেলে পরিবার। খাবার সংগ্রহ ও খাবার পানি, রুক্ষ পরিবেশ ও বিভিন্ন অনুকূল পরিবেশের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হতে শুরু করেন হাউটওয়ানবাসীরা। বিভিন্ন কাজের উদ্দেশে শহরে পাড়ি জমাতে থাকে ওই গ্রামের একেকটি পরিবার। এরপর থেকে জনশূন্য হতে থাকে গ্রামটি
১৯৯০ সালের দিকে দুই-একটা পরিবার ছাড়া বাকি সবাই চলে যায় শহরে, কারণ ওই গ্রামে কোনো স্কুল, কলেজ বা হাসপাতাল—এসব কোনো কিছুই ছিল না। বর্তমানে অনেকেই একে ‘ভুতুড়ে’ গ্রাম বলে থাকেন। কুইং জিয়ান নামের চীনের এক ফটোগ্রাফার ছবি তুলতে গিয়ে ২০১৫ সালে নতুন করে খোঁজ পান সবুজে ঢেকে যাওয়া এ গ্রামটির। এরপর তিনি ওই গ্রামের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পোস্ট করার পর ইন্টারনেটে তা ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। বর্তমানে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটকই ওই গ্রামে পরিদর্শন করতে ভিড় জমান হাউটওয়ান নামের এ গ্রামটিতে।