নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিপুর জেল থেকে পালাল তিন বিচারাধীন বাংলাদেশি বন্দি। ফারুক হাওলাদার, ইমন চৌধুরি এবং ফিরদৌস শেখ নামের ওই তিন বন্দির বিরুদ্ধে ডাকাতি, বেআইনি অস্ত্র এবং ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, জয়নগরের মোয়াতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে জেলরক্ষীদের অচৈতন্য করে পালিয়ে যায় তিন বন্দি।
জেল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ভোরে গুনতির পরই বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের। ভোর ছটা থেকেই ওই বন্দিদের খোঁজ নেই। আলিপুর জেলের আদিগঙ্গা লাগোয়া পাঁচিলে বিছানার চাদর দিয়ে তৈরি দড়িও মিলেছে। ওই দড়ি বেয়েই বন্দি তিনজন পালিয়েছে বলে অনুমান। পলাতক তিন বন্দির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
বন্দি ফারুক হাওলাদার, ফিরদৌস শেখ ও ইমন চৌধুরী তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। ফিরদৌস শেখ ওরফে রানার বয়স ২৯ বছর। বাংলাদেশের মাদারিপুরের বাসিন্দা রানাকে ডাকাতির ঘটনায় ২০১৪ সালে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানা। তারপর থেকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ১ নম্বর বারাকের ৯ এফএফ ওয়ার্ডে বন্দি ছিল ফিরদৌস। দ্বিতীয় জন ফারুক হাওলাদারের বয়স ২৪ বছর। বাংলাদেশের বাগেরহাটের বাসিন্দা ফারুককে ২০১৩ সালে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানা। তারপর থেকে ফারুকের ঠিকানা ছিল ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৭জিএফ ওয়ার্ড। এর আগেও দিল্লির দ্বারকাতেও একবার গ্রেফতার করা হয়েছি ফারুককে। তৃতীয়জন ২৫ বছররে ইমন চৌধুরীকে ২০১৪ সালে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করে সোনারপুর থানা। ৫ বছরের সাজা হয় তার। তারপর থেকে ঠিকানা ছিল ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫জিএফ ওয়ার্ড।
প্রাথমিক তদন্তের পর আলিপুর জেল থেকে বন্দি পালানোয় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, শনিবার রাতে ওয়ার্ডে জয়নগরের মোয়া বিতরণ হয়। সেই মোয়াতেই ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ঘুমের ওষুধে জেলরক্ষীরা অচৈতন্য হয়ে পড়লে হ্যাক্সো ব্লেড দিয়ে গরাদ কেটে চম্পট দেয় তিন বাংলাদেশি বন্দি। এই ঘটনায় ৫ রক্ষীকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।