নারকেল গাছে ভুতুড়ে হাসির রহস্য ভেদে যা বেরোলো জানলে চোখ কপালে উঠবে
কলকাতা টাইমস :
রাতের কথা নাই বা বলা হল এখানে তো দিনের আলোতেই হাড় হিম হয়ে যাচ্ছিলো এক পরিবারের। দিন নেই, রাত নেই নারকেল গাছের মাথা থেকে ভেসে আসে এক শিশুর হাসি। ভয়ে নাভিঃশ্বাস উঠে যাচ্ছিল কর্ণাটকের উদুপির পরিবারের। এই হাসি থেকে মুক্তি পেতে গোবিন্দা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বাদ দিলেন না জোতিষী থেকে ওঝা কিছুই। জ্যোতিষী গুনে টুনে স্পষ্ট বুঝতে পারলেন, অশুভ আত্মারই কাজ এটা। কোনও শিশুর আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাড়ির চারপাশে। তারই হাসি ভেসে আসছে বারবার।
আরও পড়ুন : মৃত মায়ের সঙ্গে তিন দিন ঘুমিয়ে ছিল সন্তানেরা
শুরু হল যাগযজ্ঞ। চললো পূজা-অর্চনাও। কিন্তু, কিছুতেই কিছু লাভ হল না। হাসি বেড়েই চলল দিনে দিনে। সেই সময়ই বাড়িতে এলেন সেনা পূজারি নামের এক ব্যক্তি। তিনি মাঝেই মাঝেই ওই বাড়িতে আসেন ও গাছ থেকে নারকেল পেড়ে দেওয়ার কাজ করেন। কিছুদিন আগেও এসেছিলেন একবার। তারপর নিজের মোবাইল ফোনটা হারিয়ে ফেলেন পূজারি। আদতে সেই ফোনই ছিল নারকেল গাছের মাথায়। সেই ফোনের রিংটোনটি ছিল শিশুর হাসির শব্দ। তার কল্যাণেই এই ভূতুড়ে কারবার। প্রতিদিন কাজ থেকে সন্ধায় বাড়ি ফিরে বাড়ির অন্য লোকজনের মোবাইল থেকে ফোন করতেন নিজের নম্বরে, আর নারকেল গাছের মাথায় শিশুর হাসির রিংটোন। নারকেল গাছ থেকে ফোনটি নামানোর পর উদুপি পরিবার স্বস্তি পেলেও লজ্জায় আর কিছু বলতেই পারলেন না।