এই বাংলোয় ভূত থেকে রেহাই পাননি দুঁদে কালেক্টরও, ভয়ে ঘুম হারাম
কলকাতা টাইমস :
‘আমার ১৩৩ বছরের পুরনো বাড়িতে ভূত আছে। প্রতি রাতে আমি অশরীরির উপস্থিতি টের পাই। রাতের বেলা একতলার স্টোররুম থেকে নানারকম শব্দ আসে। এখনও পর্যন্ত একটা দিনও আমি একতলায় ঘুমোতে পারিনি’। বললেন, তেলেঙ্গানার জেলা কালেক্টর আম্রপালি কাটা। আম্রপালির আগে যিনি এই বাংলোতে থাকতেন তাঁরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। একতলায় তিনিও গোলমাল পেয়েছিলেন।
২০১৬ সালে ওয়ারেঙ্গেলে কালেক্টর পদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি আসেন। নিজ উদ্যোগেই বাংলোর ঘর এবং চারিদিক পরিষ্কার করে থাকতে শুরু করেন। তখনই তাঁর কিছু সহকর্মী তাঁকে সাবধান করেছিল যে ওই বাড়িতে প্রেতাত্মা আছে। তখন এসব কিছু শুনে তিনি পিছিয়ে আসেননি। বরং ‘পুরনো বাড়ি, সবুজ লন আর পোষ্য নিয়ে ভূতের সঙ্গে থাকাটা তিনি বেশ উপভোগ করেছিলেন’।
তিনি আরও জানান, ‘নিজামের সময়ে জর্জ পালমেরের নেতৃত্বে এই বাংলো তৈরি হয়েছিল। তবে ১৩৩ বছরের পুরনো বাড়ির সিলিং থেকে চাঙড় খসে পড়ছে। দেওয়াল বেয়ে চুঁইয়ে পড়ে বর্যার জল। তবে কিছু অংশের সারাইয়ের কাজ অবশ্য শুরু হয়েছে’। এই পুরনো বাড়িতেই রয়েছে কালেক্টরের অফিস। নতুন অফিস তৈরির কাজ চলছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানেই হবে কালেক্টরের বাসস্থানও।
২০১০ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের জন্ম বিশাখাপত্তনমে। আইআইটি মাদ্রাজ থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। ম্যানেজমেন্টের পিজি ডিপ্লোমা করেন আইআইএম ব্যাঙ্গালোর থেকে। এছাড়াও ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি ৩৯তম স্থানে ছিলেন। এবছরই জম্মুর বাসিন্দা আইপিএস অফিসার সমীর শর্মার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এই মুহূর্তে তিনি দমন এবং দিউতে কর্মরত।