স্টিফেন লরেন্স থেকে প্রিন্সেস ডায়না, তার কাটাছেড়ার লিস্টে ২৩ হাজারের শরীর, কিন্তু…
৯/১১-তে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলায় নিহত থেকে শুরু করে ২০০৫-এর লন্ডন হামলার শিকার কিংবা ১৯৯৩ সালে খুন হওয়া সাড়া-জাগানো স্টিফেন লরেন্স থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়ানার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন শেফার্ডই।
ফরেনসিক প্যাথলজিস্টের পেশা মানসিক স্বাস্থ্যকে কতটা প্রভাবিত করেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিচার্ড শেফার্ড বলেন, ‘এক জায়গায় ২০০টি টুকরো টুকরো, ক্ষতবিক্ষত প্রাণহীন দেহ আপনার মনে একটি ছাপ রেখে যায়। গত ৩৫ বছর ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে আমার পরিচয়; কিন্তু এর মধ্যে এমন একটা সময় আসে, যখন এটিকে দৈনন্দিন জীবন থেকে আলাদা করা সম্ভব হয় না।’
দীর্ঘদিন ওই পেশায় থাকার কারণে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডারে (পিটিএসডি) ভুগতে হয়েছে ডা. শেফার্ডকে। ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে থাকা অবস্থায় ষাট বছর বয়সে তিনি এই সমস্যা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বোমা হামলায় নিহতদের ময়নাতদন্তের দায়িত্ব্বে ছিলেন ড. শেফার্ড। সে সময় বরফ না থাকায় মরদেহগুলো শীতল রাখা সম্ভব হয়নি। ওই সময় মানসিক সমস্যার সূত্রপাত হলেও ড. শেফার্ড মনে করেন, এর গোড়াপত্তন হয় আরো বছর দশেক আগে। তিনি বলেন, ‘হাঙ্গারফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর মানসিক অস্থিরতার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ওই ঘটনাটি খুবই উদ্ভট ও অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি তৈরি করেছিল আমার ভেতরে; যা পরবর্তী সময়ে ক্রমে বিস্তার লাভ করে।’
১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের হাঙ্গারফোর্ড এলাকায় বন্দুকধারী মাইকেল রায়ান নিজেকে হত্যা করার আগে ১৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ড. শেফার্ডের পেশাজীবনে প্রথম বড় কেস ছিল এটি।