নিয়মিত আঙুল ফাটান নাকি ? তৈরী থাকুন জয়েন্টে ফাটলের জন্য
কলকাতা টাইমস :
অবসরে কিংবা কাজের ফাঁকে আঙুল ফাটাতে (চটকাতে) অনেকেরই ভালো লাগে। এ ভালোলাগা অনেকের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়। তবে সাময়িক আরামদায়ক এই অভ্যাস যে আপনার শরীরের জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে তা অনেকেরই অজানা।
সম্প্রতি প্লস ওয়ান নামক জার্নালে প্রকাশিত একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দাবী করা হয়েছে যে তারা প্রমাণ করেছেন আঙুল ফোটানোর ফলে হাড়ের সংযোগস্থলে এক ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়, যা গিঁটে ফাটলও ধরাতে পারে। কারণ, ফোটানোর সময় আমাদের আঙুলের হাড়ের সংযোগস্থলে জমে থাকা তরল বস্তুর মধ্যে গ্যাসের গহ্বর সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে তা পরিবর্তিত হয় গর্তে। ভবিষ্যতে তা গিঁটে ফাটলও ধরাতে পারে।
গবেষণা দলে ছিলেন আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেগ কাওচুক। তিনি বলেন, যখন আপনি আঙুল কিংবা শরীরের অন্য কোনও সংযোগস্থলে শব্দ করে ফোটাবেন, তখন আপনি আসলে বুঝতে পারবেন না সংযোগগুলোতে আসলে কী ঘটছে।
আঙুল ফোটানোয় উৎপন্ন শব্দের কারণ নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে বির্তক ছিল। এর আগে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলেছিলেন, আঙুল ফোটানোর শব্দ হয় হাড়ের সংযোগস্থলে গ্যাসের বুদবুদ গঠনের কারণে। তবে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয় ১৯৭০ সালে যখন আরেক দল দাবি করেন, হাড়ের সংযোগস্থলের ফাঁকা অংশে জমে থাকা তরল বুদবুদ ধ্বংসের ফলে এই শব্দের সৃষ্টি হয়।
তবে এবার নতুন এমআরআই এর ৩১০ মিলি সেকেন্ডেরও কম গতির অত্যাধুনিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ক্র্যাকিং এবং জয়েন্টের বিচ্ছেদের ফলে দ্রুত জমে থাকা তরলে মধ্যে গ্যাস ভরা গহ্বর সৃষ্টি করে। এই পিচ্ছিল তরল পদার্থ জয়েন্ট গুলোকে আবৃত করে রাখে।
গ্রেগ বলেন, আমাদের সন্ধি গুলো হঠাৎ আলাদা হলে, ওই সময় সেখানে কোনও তরল পদার্থ অবশিষ্ট থাকে না। এসময় একটি ক্ষত সৃষ্টি হয় এতেই সৃষ্টি হয় শব্দ।
বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন, চাপের ফলে উৎপন্ন শক্তি হাড়ের কঠিন পৃষ্ঠতলে ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। যদিও তারা জানিয়েছেন এই রকম অভ্যাস বাতের কারণে সৃষ্টি হয় না।
গ্রেগ আরও জানান, হাড়ের গিটের ফাটল ধরার সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে।