আজব! একই স্কুলের ছাত্রী, শিক্ষিকা, প্রিন্সিপাল এবং সুপারভাইজারকে বিয়ে করলেন এক ব্যক্তি !
কলকাতা টাইমসঃ
ইসলাম ধর্ম পুরুষদের চারটি বিবাহকে বৈধতা দিয়েছে। তবে সকল স্ত্রীকে সমানভাবে মূল্যায়ন করতে হবে কিংবা স্বামীকে পক্ষপাতদুষ্ট হলে চলবে না- ইত্যাদি শর্তের ভিত্তিতেই চারটি বিয়ে করা যায়। কিন্তু অনেক সময়ই মুসলমান পুরুষ একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের বিধিগুলো মেনে চলেন না। অযথা কোনো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফেলেন। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রইলেন সৌদি আরবের এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি এরকম, এক ব্যক্তি একই স্কুলের চারজনকে বিয়ে করে ফেললেন। তার এই চার বধূ হচ্ছেন একই স্কুলের ছাত্রী, শিক্ষিকা, সুপারভাইজার এবং প্রিন্সিপাল। প্রতিষ্ঠানের ৪ টি স্তরের এই চার প্রতিনিধি এখন ওই ব্যক্তির চারজন স্ত্রী হিসেবে ঘর করছেন। প্রসঙ্গত, যাদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে, সেই স্ত্রীদের একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্কে তারতম্য থাকতে পারে। সতীন মনে করে কেউ অপরজনকে হয়তো দু’চোখে দেখতেই পারেন না। আবার হয়তো অন্য কারো সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক তার। কেউ কেউ দেখা যায় সতীনকে বোনের মতন করেই বরণ করে নেন। আবার যার সঙ্গে স্বামীর বনিবনা একটু বেশি-তাকে নিশ্চয়ই অন্য স্ত্রীরা পছন্দ করবেন না।
এই ধরনের নানান পরিস্থিতির উদয় হওয়া মোটেও বিচিত্র নয়। কিন্তু এই ব্যক্তির চার স্ত্রীর সম্পর্কটা আরো বেশি জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। কারণ, তারা সবাই একই প্রতিষ্ঠানে আছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টা সৌদি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে বলে জানায় মিডিয়া। ছোটো বউ এখনো পড়ছেন। সবে সেকেন্ডারি লেভেলে পড়ছে সে। সেখানে তার শিক্ষক আবার আপন ঘরের সতীন। এই শিক্ষিকার সুপারভাইজার যিনি, তিনিও তার স্বামীর ঘর করেন। ওদিকে, স্কুলের প্রিন্সিপালকেও বিয়ে করে বসেছেন এই সৌদি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, তারা সবাই একে অপরকে মেনে নিয়েছেন এবং তারা সুখে সংসার করছেন। স্কুল এবং স্বামী-স্ত্রীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গেছে, স্কুলটি জাহান প্রদেশের কোনো এক জায়গায় রয়েছে।
যে স্ত্রী শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন, তিনি ঘটনার কিছুটা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি বাকিদের মেনে নিয়েছেন এবং এই বিয়েগুলোর পেছনে তার সমর্থন ছিলো। তিনি আরো জানান, তাদের বিয়ের পর কোনো কিছুই বদলায়নি। কিন্তু এমন ঘটনা নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা তো আর থেমে থাকে না।