শিউরে উঠবেন এই শখের পরিণতি দেখে
কলকাতা টাইমস :
আজকালকার অসংখ্য ট্রেন্ডের মত আরেকটি বহুল জনপ্রিয় ট্রেন্ড শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু করানো। শখ করে অনেকেই নিজেদের শরীরের নানা জায়গায় ট্যাটু করে থাকেন। তবে ভুল ভাবে ট্যাটু করলে পরিনতি যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা থাইল্যান্ডের এক ছাত্রী পৃথিবীকে দেখালেন।
২১ বছরের থাইল্যান্ড নিবাসী তরুণী পাসুদা রিও। ট্যাটু করিয়ে মেয়েটির যে হাল হলো, না দেখলে বিশ্বাস করবেন না কেউই। মেয়েটির শখ ছিল গলা ও বুকের ঠিক মাঝামাঝি অংশে ট্যাটু বানাবেন। যেমন ভাবা ওমনি কাজ। সুন্দর শরীরকে আরও খানিকটা আকর্ষণীয় করে তোলাই ছিল উদ্দেশ্য ছিল বছর ২১-এর পাসুদা রিওর।। কিন্তু কে জানত, এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে চলেছে! আর পাঁচজন যেভাবে লেজারের মাধ্যমে ট্যাটু করান, এই ট্যাটু ছিল তার চেয়ে খানিকটা আলাদা। এতে লেজার বা কেমিক্যালের কোনও ব্যাপার ছিল না।
ছোট্ট একটি ট্যাটুর ডিজাইন বন্দুকের সাহায্যে আঁকা হয়েছিল, যা স্টিকারের মতো ত্বক থেকে তুলে নেওয়া যাবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এমন ট্যাটুর বেশ ভালই প্রচলন আছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্যাটুটি করান মেয়েটি।
তবে পাসুদা জানান, ট্যাটু করার বেশ কিছুদিন পর পাসুদার শরীরের ওই অংশটি চুলকাতো ও জ্বালা করতে শুরু করে। তারপর শুরু হয় অসম্ভব যন্ত্রণা। একটি কলেজের আর্টের এই ছাত্রী জানান, ‘আমি লেজার ব্যবহার করতে চাইনি। ওটায় খরচ আর ব্যথা অনেক বেশি। তাই এই ট্যাটুই বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু ভীষণ ব্যথায় এই ট্যাটু আমার রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিল। এখন ভাবি কেন এই পদ্ধতিতে ট্যাটু বানাতে গিয়েছিলাম’!
এখন পাসুদার গলার নিচের সেই অংশের দিকে তাকালে শিউরে উঠতে হয়। কারণ ওই অংশ থেকে চামড়া-সহ স্টিকারটি উঠে এসেছিল। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েছিলেন ছাত্রী। পোড়া শরীরের চামড়া শুকোলে যেমন সাদাটে হয়ে যায়, বর্তমানে সেই অংশের হাল একই। তাই নিজের বন্ধু-বান্ধবদের ট্যাটু বানানোর আগে বারবার সতর্ক করেন ওই তরুণী।তাই ট্যাটু বানানোর পরিকল্পনা থাকলে এখনই সতর্ক হোন। পাসুদার মতো পরিণতি যেন না হয়।