গরুদের রূপ ও গুণের স্বীকৃতি দেয় এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা
কলকাতা টাইমস :
বিশ্বের নানা দেশে নারীদের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে নানারকম তর্ক-বিতর্ক শোনা যায়। কিন্তু গরুর সৌন্দর্য বিচার করার কথা কখনো শুনেছেন কি? জার্মানিতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অনেক গরু তাদের রূপ ও গুণের স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।
জানা গেছে, গরুর রূপগুণ বিচারের জন্য অভিনব এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে। মূল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি থাকে গরুর ছবির শুটিং। গরুর মুখচ্ছবিতে কৌতূহলের অভিব্যক্তি নিয়ে আসতে একটি বল ব্যবহার করা হয় । সেই গরুর আলাদা খাদ্য তালিকাও রয়েছে।
আয়োজকদের একজন বলেন, ডেয়ারবোফেন গরু প্রজনন কেন্দ্রের জন্য আমরা তিন সপ্তাহের খাদ্যের প্রস্তুতি নিয়েছি। গরুকে শুধু খড় খাওয়ানো হবে। সাধারণত তারা সিলাজ খায়। গরুর চওড়া পাঁজর থাকা উচিত, শরীরে গভীরতা থাকা উচিত। গরুগুলোর শরীরের কাঠামো ও গভীরতা পরিবর্তন করা সম্ভব বলেও জানান ওই ব্যক্তি।
মঞ্চের আড়ালে স্টিভ ম্যাকলাউলিন গরুর সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যস্ত। নারীর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মতো এ ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞদের আনা হয়। যেমন আয়ারল্যান্ড থেকে স্টিভ ম্যাকলাউলিন নামে গরুর স্টাইলিস্ট এসেছেন।তিনি বলেন, জেল দিয়ে বাঁট উজ্জ্বল করে তোলা হয়। ফলে রিং-এ নিয়ে গেলে গরুকে অনেক স্বাভাবিক দেখায়, বিচারকরাও ভালোভাবে দেখতে পান।
মঞ্চে প্রবেশের আগে টিমের হাতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় থাকে। জার্মানিতে গরুদের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ১০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী গরু নিয়ে যোগ দেন । সেখানে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা, শারীরিক গঠন, দীর্ঘ আয়ু ও দুধ দেওয়ার ক্ষমতা দেখা হয় । বয়স্ক ও কমবয়সি গরুর মূল্যও আলাদা।
কৃষি ইঞ্জিনিয়ার আনিটা লুকাসসেন বলেন, গরুর শারীরিক গঠন ভালো হতে হবে, অনেক খাদ্য খাওয়ার জন্য পেট যথেষ্ট গভীর হওয়া চাই, পাঁজর শক্ত হওয়া চাই। বাঁট মজবুত হতে হবে, গোড়ালি থেকে অনেক উপরে থাকতে হবে। যতটা সম্ভব দীর্ঘ সময় ধরে গরুকে অনেক দুধ উৎপাদন করতে হবে।