দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ বছরের জন্য জেলে গেলেন ৭৬ বছরের লি মিয়ং-বাক
কলকাতা টাইমসঃ
দক্ষিণ কোরিয়া পারে ভারত পারে না। দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হলে তাকে অন্যান্য অপরাধীর মতোই সাজা দেয়া হয়। তার প্রভাব-প্রতিপত্তির কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই আইন তাকে সাজা দেয়। যেমনটা হল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লি মিয়ং-বাক’এর ক্ষেত্রে। লি মিয়ং-বাক’দুর্নীতির অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালতের বিচারক চুং কে-সান।
শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আনা ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে এক সপ্তাহ সময় পাবেন তিনি।
আদালতে লি তার ভাইয়ের একটি প্রাইভেট অটো পার্টস মেকার কোম্পানি থেকে দুই কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার আত্মসাৎ এবং স্যামসাংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষগ্রহণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
৭৬ বছর বয়সী লির বিরুদ্ধে করা সব ধরনের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন যে তদন্তের ভিত্তিতে এই রায় দেয়া হয়েছে, সেটাকে প্রভাবিত করেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন লি। গত মার্চ মাসে গ্রফেতার হওয়ার পর থেকে সিউলের একটি কারাগারে রাখা হয় তাকে। তার এই কারাদণ্ড দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীলদের প্রতি আরেকটি আঘাত।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কোনও ঘটনা নয়। গত ৬ এপ্রিল ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা পার্ক গিউন-হে’কে ২৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।