সহজেই বাঁচতে পারেন জন্ডিস থেকে
কলকাতা টাইমস :
ঋতুবদলের সাথে সাথে বেড়ে গেছে নানান রোগের প্রকোপ। মৌসুমি রোগগুলোতে বটেই বিভিন্ন বারোমাসি রোগগুলোও বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এখন। এর মধ্যে একটি হলো জন্ডিস। জন্ডিস আসলে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। বিলিরুবিন নামক রক্তের একটি উপাদান বেড়ে যাওয়ায় শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন হাত ও পায়ের তালু, আঙুল, নখ, চোখ ইত্যাদি হলদেটে হয়ে যায় এবং এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, অরুচি ও জ্বর – এ সব কিছুই জন্ডিসের লক্ষণ। হেপাটাইটিস-‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’, ‘ই’ ও ‘জি’ – এই ভাইরাসগুলো যখন লিভারকে আক্রমণ করে লিভারের কাজকর্মে বাধা দেয়, তখন জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই এই মারাত্মক অসুখটির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। মেনে চলুন কিছু বিষয়- *বাইরে থেকে ফিরে, রান্না করার আগে, যেকোনো কিছু খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাতের কবজি পর্যন্ত ধুয়ে নিন। *বিশুদ্ধ পানি ও পরিচ্ছন্নভাবে তৈরি খাবার খান। *হেপাটাইটিস-‘বি’ ও ‘এ’-র টিকা নিন। ‘বি’-র জন্য প্রয়োজন হয় তিনটা টিকার। এই তিনটা ইঞ্জেকশনই আজীবন প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যার জন্য ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে, যারা ‘এইডস’ রোগী এবং যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক কম এমন মানুষদের হেপাটাইটিস-‘বি’-র বুস্টার ডোজ দেওয়া দরকার।
*সাবধানে থাকুন হেপাটাইটিস-‘বি’ ও ‘সি’ থেকে। কারণ এগুলো ভয়ানক ছোঁয়াচে। রক্ত, লালা, বমি ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাসগুলো ছড়ায়।
*সেলুনে দাড়ি কাটতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। জন্ডিসে আক্রান্ত কোনো লোকের ব্যবহৃত রেজার, ব্লেড ইত্যাদির ব্যবহারে জন্ডিসের ভাইরাস ছড়াতে পারে।
*মাদকাসক্তরা এই সিরিঞ্জ ও সুইয়ে ড্রাগ ইনজেক্টের ফলে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। এমনকি জন্ডিস রোগীর সাথে সিগারেট শেয়ার করলেও জন্ডস হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই মাদক থেকে দূরে থাকুন। এরপরেও যদি জন্ডিস হয়ে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখান। জন্ডিস রোগে সব ধরনের খাবারই খাওয়া যায় কিন্তু প্রচলিত ধারণায় অনেক খাবারে বাধা দেয়া হয়। বিশেষ করে হলুদ দেয়া খাবার রোগীকে খেতে দেয়া হয় না। এসব আসলে ভুল ধারণা। বাড়িতে রান্না সাধারণ খাবার খেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত তেল-মশলাওয়ালা খাবার এবং গুরুপাক খাবার খাবেন না। প্রয়োজনে ডায়েটিসিয়ানের পরামর্শ নিন।