জানেন কি এই প্রেসিডেন্ট নাকি অতীত ও ভবিষ্যতে পরিভ্রমণ করতে পারেন !
কলকাতা টাইমস :
ক্ষমতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বলা হয়, রাশিয়ায় লেলিনের প্রয়াণের পর ভ্লাদিমির পুতিনই কার্যকর শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা এই মানুষটিকে নিয়ে বিশ্ববাসীর মনে রহস্যের শেষ নেই। দেশটির গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি’র সাবেক এই প্রধান বয়স্ক হয়ে গেলও এখনও আগের মতোই একই রকম সতেজ রয়েছেন।
বুদ্ধির দিক থেকে তো বটেই, শারীরিক শক্তিতেও যে কারও ইর্ষার পাত্র ভ্লাদিমির। রাশিয়ার নেতৃত্ব দিতে ব্যস্ত থাকলেও এখনও তিনি নিয়মিত ঘোড়ায় চড়েন, শিকার করেন এমনকি বরফগলা জলে সাঁতার কেটে সবাইকে চমকেও দেন।
১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া ৬৬ বছর বয়সী পুতিনকে নিয়ে পশ্চিমে যে পরিমাণ গবেষণা আর আলোচনা হয়, বিশ্বের আর কোনো নেতাকে নিয়ে এমনটি হয় না। তবে সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্য ছাড়া পুতিনের জীবনের অনেক অজানা দিকই জানা নেই কারও।
রহস্যময় এই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে তাই নানা রকম গল্প প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তিনি কি ভবিষ্যতের মানুষ? যে কিনা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। সময়কে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অতীত ও ভবিষ্যতে পরিভ্রমণ করতে পারেন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ইউকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার অতীতের অনেক ছবিতে দেখা মিলেছে এই রহস্যময় নেতার। ছবিগুলোয় দেখা ব্যক্তিদের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের হুবহু মিল রয়েছে। কিন্তু যে সময়ে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল, সেই সময়ে রুশ নেতা পৃথিবীতেই আসেননি।
ছবিগুলোর মধ্যে একটি তোলা হয়েছিল ১৯২০ সালে। ছবিটি ছিল এক রুশ সেনার, যাকে দেখে তরুণ ভ্লাদিমির পুতিন বলেই মত দিয়েছেন অনেকে।
এমনই আরেকটি ছবি পাওয়া যায়, যেটি তোলা হয়েছিল ১৯৪১ সালে। সেখানেও দাঁড়িয়ে রুশ বৈমানিকের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের হুবহু মিল রয়েছে। ছবি দু’টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় তোলে। প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করেন, সময় উল্লেখ না করা হলে প্রতিটি ছবিই তরুণ পুতিনের বলে তারা বিশ্বাস করতেন।খোদ রাশিয়ারই অনেকে বিশ্বাস করেন, ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ কিছু আধ্যাত্মিক ক্ষমতা রয়েছে। ভবিষ্যতের অনেক বিষয়ই টের পান তিনি। ফলে সেই হিসেবে তার রাষ্ট্র পরিচালনা আর কূটনৈতিক চাল দিতে কোনো সমস্যা হয় না। ফলাফল হিসেবে তাই প্রতিটি চালেই জিতে যান তিনি।
কেউ কেউ আবার পুতিনকে অবিনশ্বর আর অনেক ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন। রুশ উপকথায় এই সম্পর্কিত একটি গল্পও প্রচলিত আছে। সেখানে উল্লেখ আছে যে, রুশ অঞ্চলে এক শাসক থাকতেন যিনি অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ করতে পারতেন।
তার ক্ষমতা এতটাই ছিল যে, প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রনেতা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সাহস পেতো না। এক সময় সেই শাসক একঘেয়েমির কারণে রাজ্য আর রাজত্ব ত্যাগ করে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমান। তবে যাওয়ার আগে বলে যান, ভবিষ্যতে রাজ্যের সঙ্কটাপন্ন সময়ে তিনি আবার ফিরবেন।
এমন উপকথা থেকে তাই কারও কারও বিশ্বাস, হাজার হাজার বছর আগের সেই ক্ষমতাধর শাসকই হচ্ছেন আজকের পুতিন। যিনি সময়কে জয় করে আবারও ফিরে এসেছেন।
তবে দেশটির একটি বড় অংশ এসব উপকথাকে কাল্পনিক বলেই উড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তাই বলে অবশ্য ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে রহস্য বাড়ছে বৈ কমছে না!