November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

স্বামীর জন্য তান্ত্রিকের কাছে স্ত্রী, হারালেন সবই…

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
এই বিজ্ঞানের যুগেও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়! পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ.. দুনিয়ার সব স্থানেই কিছু মানুষ আছে যারা তন্ত্রে-মন্ত্রে এখনও পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। যদিও বিজ্ঞান এসব বিষয়কে বুজরুকি ছাড়া আর কিছু বলে মানতে নারাজ। কথাটা যে মিথ্যে নয়, তেমন প্রমাণও কিন্তু অনেক আছে। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে।

দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় এক পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর তদন্তে বেড়িয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

জানা যায়, দিল্লির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিন্যান্স ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৫৪ বছরের মৃত ডি এস মূর্তি। আয়ও ছিল ভালো!! কিন্তু হলে কি হবে, মদের নেশা এতটাই বেশি ছিল যে সংসারে অভাব লেগেই থাকতো।

ফলে আয় ও ব্যায়ের হিসাব মিলাতে না পারায় প্রচুর দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। মুর্তির স্ত্রী কে ভি রামা অবশ্য স্বামীর নেশা বন্ধে প্রচুর চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু স্বামীর নেশা চলমান থাকায় সংসারের হাল টানতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন রামা।

সংসারের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে মদের নেশা মেটাতে গিয়ে মূর্তির দেনা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১২ লাখ টাকাতে। স্বামীর নেশা, সংসারে অভাব আর দেনার দায়.. সব মিলিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবন মোটেও সুখের ছিল না। সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো।

কোনো উপায় না দেখে স্ত্রী রামা তাই এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হন। স্বামীকে হত্যার জন্য শ্যাম সিংহ নামের সেই তান্ত্রিকের সাহায্য চান তিনি। তান্ত্রিকও বিষ সরবরাহ করেন। এরপর স্ত্রী রামা সেই বিষ স্বামীর মদের মধ্যেই মিশিয়ে দেন।

বিষাক্ত মদ খাওয়ার পরপরই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান ডিএস মূর্তি। এরপর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বলা হয়, বিষের প্রভাবেই মৃত্যু হয়েছে তার। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে আসল সত্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডি এস মূর্তির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রামা এবং সেই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Related Posts

Leave a Reply