অপেক্ষা অরে বেশি দিন নয়, এলিয়েনের দেখা মিলবে যে কোনো দিন!

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কিংবা ইউরোপীয় সংস্থা ইসা’র গবেষকেরা বিষয়টি চেপে গেলেও বিজ্ঞানীদের একটি মহল কিন্তু বলছে, ব্রহ্মাণ্ডে বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব না থাকাটাই অস্বাভাবিক। লক্ষ কোটি নক্ষত্রমণ্ডলে কোথাও পৃথিবী সদৃশ্য গ্রহ এবং সেখানে বুদ্ধিমান প্রাণী নেই তা না জেনে বলা ঠিক নয়!
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’ও বলছে, এই সৌরমণ্ডলের বাইরে এমন অনেক গ্রহ রয়েছে যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে। সমস্যা একটাই, সেখানে যাওয়ার কিংবা যোগাযোগ স্থাপনের প্রযুক্তি এখনও আমাদের আয়ত্তে আসেনি।
সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা দপ্তরে কাজ করা এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে মহাকাশে সংকেত পাঠানোর সুফল মিলেছে। তার দাবি, বিজ্ঞানীরা যে তরঙ্গে মহাকাশে সংকেত পাঠিয়েছিলেন তা ভিনগ্রহের উন্নত প্রাণীদের কাছে পৌঁছেছে। যার ফলে তারা পাল্টা সংকেত পাঠিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এই সৌরজগতে সেই ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের আগমন ঘটবে।
নিক পোপ নামের ওই ব্যক্তি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময়টাতে তিনি বিভিন্ন অমিমাংস রহস্যের পেছনে ছুটেছেন। যার মধ্যে র্যানডেলশাম বনে কথিত ইউএফও দেখার দাবিও তদন্ত করেছেন।
ব্রিটেনের সাফোক’এ অবস্থিত সেই বনে ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরে ইউএফও দেখা যায় বলে অনেকের দাবি। স্থানীয়দের অনেকে দাবি করেন, সেই জঙ্গলে অজানা মহাকাশযান বা ইউএফও নেমেছিল।
সেই স্থানটির কাছেই আবার মার্কিন বিমান বাহিনীর ঘাঁটিও ছিল। তারাও জানিয়েছিল, আকাশ থেকে অজানা মহাকাশযানকে নামতে দেখা গেছে। সেই সময় মার্কিন বিমান ঘাঁটিটির উপ-প্রধানের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট কর্নেল চার্লস হল্ট নিজেও সেই দাবি করেছিলেন।
নিক পোপ জানিয়েছেন, মহাকাশে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য হালের বিজ্ঞানীরা যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছেন তাতে আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ভিনগ্রহের উন্নত প্রাণীরা আমাদের জন্য খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়েই দেখা দেবে।