আবার হাঁটতে পারবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ!
প্রথম চিকিৎসা দেয়া ব্যক্তি ৩০ বছর-বয়সী সুইস নাগরিক ডেভিড এম’যি। খেলাধুলা সংক্রান্ত এক দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাত বছর ধরে তিনি ইনজুরিতে ভুগছিলেন।
ডেভিড এর চিকিৎসক বলেছিলেন তিনি কোনদিন হাঁটতে পারবেন না। যাইহোক ধন্যবাদ প্রাপ্য ইকোল পলিটেকনিক ফেদেরার ডি লাওসানের একটি দলের যারা এই বৈদ্যুতিক ইমপ্ল্যান্ট প্রস্তুত করেছে, যার সাহায্যে ডেভিড আধা মাইলের বেশি হাঁটতে পারেন।
ডেভিড বলেন কিভাবে তার হাঁটার প্রচেষ্টা ও সামর্থ্য তার জীবন বদলে দিয়েছে – ‘আমার কাছে এর গুরুত্ব অনেক। যা করতে পেরেছি তাতে আমি অনেক বিস্মিত। আমি ভেবেছিলাম অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা ভীষণভাবে আনন্দের, সত্যিই এই অনুভূতি খুব ভালো’।
সুইজারল্যান্ডের নেতৃস্থানীয় স্নায়ুবিজ্ঞানীদের একজন লাউসান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ডক্টরর জোকলেন ব্লোচ ডেভিডের মেরুদণ্ড প্রতিস্থাপন করেছিলেন। ডেভিডের উন্নতি দেখে তিনিও বিস্মিত।
“বর্তমানে এটি রোগীদের জন্য বিকল্প উপায় কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে। কিন্তু এটা প্রমাণ করে যে, আমাদের সামনে কার্যকর একটি মডেল আছে।
গবেষকরা তিন বছরের মধ্যে ইউরোপ এবং আমেরিকাতে বড় পরিসরে এই ক্লিনিকাল পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে। সব ঠিকমত চলতে থাকলে এই পদ্ধতি আরও ব্যাপকভাবে সুলভ হবে, আশা করছেন গবেষকরা।