মিসরের থেকেও বেশি পিরামিড দেখতে চাইলে যেতেই হবে এই দেশে
কলকাতা টাইমস :
আফ্রিকার দেশ সুদানের কথা ভাবলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে যুদ্ধ কবলিত রুক্ষ এক মরুভূমির দেশের কথা। কেননা গণহত্যার অভিযোগ আর দারফুরের শরণার্থী সংকটের কথা বিশ্বের অনেকেই জানে। কিন্তু দেশটির বিস্তীর্ণ মরু এলাকায় রয়েছে হাজার বছরের পুরনো বহু পিরামিড। সংখ্যায় যা ২৫০টিরও বেশি। অবশ্য সুদানের পিরামিড আকারে কিছুটা ছোট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুদানের তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ সম্প্রতি নিজেদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এবং জানাতে এগিয়ে এসেছে।
এমনই একজন মোহামেদ আল মুর, যিনি বিদেশী পর্যটকদের গাইড হিসেবে কাজ করেন। মুর জানান, “আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এটা জেনে যে এই পিরামিডগুলো এখন পর্যন্ত কেউ দেখেইনি! এটাও অবাক করার মত ব্যাপার যে, কেউ এগুলো দেখাশোনাও করে না।”
মুর বলেন, “এটা আমাদের প্রাচীন ইতিহাস। আমার পরিবারের কাছ থেকে এই জায়গা সম্পর্কে আমি শুনেছি। জেনেছি এই স্থানগুলো কিভাবে নারীরা পরিচালনা করতেন। শুনেছি এই জায়গাগুলোয় কত বড় বড় সভ্যতা ছিল!”
মোহামেদ মুর দেশটির তরুণ প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর জন্য মুক্ত আলোচনা এবং বিনা খরচে পিরামিড দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। দিনব্যাপী এসব ট্যুরে নিয়মিত তিনি নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এদের অনেকেই এখন সেইসব স্থাপনায় একাধিক বার যাচ্ছেন।
এই তরুণ পর্যটক দলের কেউ কেউ আছেন, যারা এখন বিষয়টি জানতে এবং গবেষণা করতে উৎসাহিত হয়েছেন। কেউ কেউ আছেন যারা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ছবি তোলা বা ভিডিও নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদানের পুরনো শহর গেমাটোনের কাছে মরুভূমিতে রয়েছে বেশিরভাগ পিরামিড। প্রায় দুই হাজার বছর আগে এগুলো গড়ে তোলা হয়। তখন সুদানে ‘কুশ’ সাম্রাজ্যের চলছিল জমজমাট অবস্থা।
মোহামেদ জানান, কিছু পিরামিড ডিনামাইটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮৩০ সালে ইতালির এক ব্যক্তি মূল্যবান রত্নের সন্ধানে বেশ কয়েকটি পিরামিড গুড়িয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া কালের পরিক্রমায় অনেক সমাধির জিনিসপত্রও চুরি হয়ে গেছে।