এক-দুই নয় ৯ শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের পদ্ধতি এই পিশাচের মুখে শুনে হতবাক পুলিশও
প্রথমে অপহরণ, পরে শারীরিকভাবে অক্ষম করে দিয়ে ধর্ষণ। যৌন তৃপ্তি শেষে প্রমাণ লোপাটে নিগৃহীতাকে হত্যা। এভাবেই একের পর এক অপরাধ করেছে ওই পাষণ্ড। গুরুগ্রামের বস্তি এলাকায় সম্প্রতি তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে সুনীল। এরপর মাথা থেঁতলে, যৌনাঙ্গে লম্বা লাঠি ঢুকিয়ে আঘাত করে সে। আর এই অত্যাচারে প্রাণ হারায় খুদে শিশুটি।
এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। শেষপর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে সুনীলকে ধরে পুলিস। শুরু হয় জেরা। তখনই সে পুলিশকে জানায়, শিশু এবং নাবালিকাদের অপহরণের পর প্রথমে তাদের পা ভেঙে দিত সে। পরে ধর্ষণ করত। সর্বশেষে প্রমাণ লোপাট করতে ধর্ষিতাকে হত্যা করত। তিন থেকে সাত বছরের প্রায় ন’জন শিশু এবং নাবালিকাকে এভাবেই ধর্ষণ করে খুন করেছে সুনীল। এর মধ্যে চারজন দিল্লির, তিনজন গুরুগ্রামের এবং ঝাঁসি ও গোয়ালিয়রের একজন করে শিশু রয়েছে।
এদের কাউকে মিষ্টি তো, কাউকে টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করত। একই কায়দায় তিন বছরের শিশুটিকে অপহরণ করে গুরুগ্রামের বস্তি এলাকায় নিয়ে গিয়েছিল সে। এরপর শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের পর তাকে খুন করে সুনীল। শিশুটিকে ওই বাড়িতে ফেলেই পালিয়ে যায়। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার তদন্তে নেমে ঝাঁসি থেকে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ।