November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

তারা শেষ ঘুম দিচ্ছেন বহুতল ভবনে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ব্রাজিল থেকে ইসরায়েল পর্যন্ত অনেক দেশই নতুন ধরনের সমাধিক্ষেত্রের নকশা করছে, যেখানে বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের স্থানে স্থানে কফিনে মৃতদের কবর দেওয়া হবে।

অসলো, ভেরোনা, মেক্সিকো সিটি, মুম্বাই ও প্যারিসের মতো বিভিন্ন শহরে ঊর্ধ্বমুখী সমাধিক্ষেত্রের এ ডিজাইন করা হচ্ছে মূলত স্থান সংকটে। মানুষের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান এবং জনবহুল শহরগুলোতে মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় মৃতদেহ সংরক্ষণে সমাধির প্রচলিত পদ্ধতিগুলো পাল্টে যাচ্ছে। এখন তাই ভূ-গর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্রের চেয়ে ভূ-উপরিস্থিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারে নজর দেওয়া হচ্ছে, যার মডেল আকাশমুখী কবরস্থান গড়া।

গত ৫০ হাজার বছর ধরে প্রায় ১০১ বিলিয়ন মানুষ পৃথিবীতে বসবাস ও মারা গেছেন। এখন আমরা যে সাত বিলিয়নেরও বেশি বেঁচে আছি, তাদেরকেও পরবর্তী শতাব্দীর মধ্যে আগের মৃতদের সঙ্গে যোগ দিতে হতে পারে।

এতো দেহকে একসঙ্গে স্থান করে দিতে সুউচ্চ এসব কবরস্থান নির্মাণ চলছে। এ পদ্ধতিতে কফিনের বেশ কয়েকটি মেঝে থাকে, যেগুলো তাকের সারিগুলোর মধ্যে সুস্পষ্টভাবে সংযুক্ত করা হয়। ফলে পৃথিবীর সীমিত স্থানগুলোকে সাতগুণ বেশি কাজে লাগাবে দক্ষতার সঙ্গে।

সমাধির স্থান সংকট এখনই এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভারতের পারসিক অন্ত্যেষ্টিক্রয়ার টাওয়ারগুলোতে বসা শকুনগুলোকে মৃতদেহ খেয়ে ফেলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। অনেক ইউরোপীয় দেশগুলোতে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ফের কবর ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও সাম্প্রতিককালে কিছু বাসিন্দা স্বজনদের মরদেহ সরাতে অস্বীকার করছেন। উচ্চবর্ণের ইহুদি ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোতে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন।

‘স্থান ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লন্ডনে আমার আওতায় এমন কয়েকটি এলাকা রয়েছে, যেগুলোতে কোনো কবরস্থান নেই’- বলেন পূর্ব লন্ডন সিটি অব লন্ডন সিমেট্রি অ্যান্ড ক্রিসমোরেটিয়ামের ব্যবস্থাপক গ্যারি বুর্কস।

এক গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে, ২০১০ সালে যে সংখ্যক কবর ও কবরস্থান রয়েছে, ২০৫০ সালে সেগুলোকে ভূখণ্ডের দিকে আরও ৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার সম্প্রসারিত করতে হবে, যা নিউইয়র্ক সিটির আকারের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।

সবচেয়ে বেশি উচ্চতার কবরস্থান রয়েছে ব্রাজিলের সান্তোসের নেকোপোল ইকাম্যানিকায়। এটি একটি বিস্ময়কর ৩২তলা ভবন, যেখানে ১৪ হাজার মানুষের শেষ ঠিকানা একসঙ্গে গড়া হয়েছে। ১৯৮৩ সালে যখন এটি প্রথম নির্মিত হয়েছিল, তখন আরো শালীন ছিল। কিন্তু সমাধির চাহিদা বাড়তে থাকায় এটি এখন ১০৮ ফুট (৩২ মিটার) উচ্চতায় সম্প্রসারিত হচ্ছে।

Related Posts

Leave a Reply