November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

বরফ সরাতেই চোখ ঝলসে গেল বিশাল হীরের চমকে 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
কারে অনেকটা মুরগির ডিমের মতো। ওজনেও নেহাত কম নয়, ৫৫২ ক্যারেট! শরীর যদিও খসখসে তবে রং দেখে চোখ ফেরানো দায়! সোনার মতো রঙের এই বস্তু ঘিরেই আপাতত সব আগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রে। কেন জানেন?

কানাডার উত্তরের অংশ বরফ জমা এলাকায় অবস্থিত ডিয়াভিক খনি থেকে মিলেছে এমন দুর্লভ এক হীরকখণ্ডটি। এটিকে মাটি খুঁড়ে বের করেছে ‘ডমিনিয়ন ডায়মন্ড মাইনস’ ও ‘রিও টিনটো’ গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা।

এর আগেও বিভিন্ন ধরনের দামি হীরারে এই খনি থেকে বের হলেও এত বড় আকারের হীরা এর আগে ওঠেনি। ডমিয়নের সিইও শেন ডার্গিন জানান, এই হীরকখণ্ডটি মূলত গহনা প্রস্তুতেই কাজে আসার উপযুক্ত। সোনালি হলুদ রঙের এই হীরকখণ্ড ওই খনি থেকে পাওয়া আগের পাথরগুলোর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আকারে পূর্বের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড় এটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সোনার মতো হলুদ রঙের দুষ্প্রাপ্য হীরকখণ্ডটি মূল্যের দিক থেকেও দুর্মূল্য। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের নানা খনিতে পাওয়া হলুদ রঙের পাথরগুলোর (টাইপ টুএ) মাথাটি সাদা হয়। সেগুলোর দাম ধার্য হয় কিছুটা ছাড় দেওয়ার পর। তবে এই বিশেষ খণ্ডটির ক্ষেত্রে এমন কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তবে এর আনুমানিক দাম কত হতে পারে তা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে নারাজ ডার্গিন। তার মতে, এই হীরকখণ্ডটির রুক্ষতা কমানোর পর তার শরীরের প্রকৃতি ও কোন পদ্ধতিতে তা কাটা হচ্ছে সে সবের উপর নির্ভর করবে এর দাম। তবে এই দাম যে বিশ্বের সেরা পাথরগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তিনি।

ব্লুমবার্গ ক্যালকুলেশনের মত অনুযায়ী, এটি এই শতাব্দীর সপ্তম বৃহৎ পাথরখণ্ড। গোটা বিশ্বের ৩০ টি বৃহৎ পাথরের তালিকায় অনায়াসেই ঠাঁই পাবে এটি। এর রঙের উজ্জ্বলতা আরও বেশি হওয়ায় এটি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।

Related Posts

Leave a Reply