ইঁদুর ধরলেই ২০ হাজার
কলকাতা টাইমস :
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্থানীয় সরকার তার বাসিন্দাদের জন্য বাসা-বাড়ির ইঁদুর নিধনে নতুন একটি লোভনীয় অফার দিয়েছে। ঘুনপোকা ও ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ রাস্তাঘাট পরিষ্কারও এর আওতায়। প্রতিটি ইঁদুর ধরার জন্য দেওয়া হবে প্রায় ২০ হাজার ইন্দোনেশিয়ান রুপি বা দেড় ডলার!
জাকার্তা বিশ্বের সবচেয়ে জনাকীর্ণ ও দূষিত মহানগরীর একটি। এখানকার রাস্তা ঘুনপোকাদের আবর্জনায় ভরা। অসংখ্য বস্তি রয়েছে যত্র-তত্র। কর্তৃপক্ষের আশা, ইঁদুর বিতাড়নের এ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের শহরটি পরিষ্কার করতে একটি গণজাগরণ তৈরি হবে।
সম্প্রতি ইঁদুর নির্মূল ও শহর পরিষ্কারের এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন জাকার্তার ডেপুটি গভর্নর সাইফুল হিদায়েত।
‘এখানে বড় বড় ইঁদুর এবং অনেক বেশি আছে’- একটি সরকারি সংবাদ ওয়েবসাইটে বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি বড় ইঁদুরের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক লড়াই তাকে এ কর্মসূচি শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। ‘ঘুনপোকারাও বিপজ্জনক এবং রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে’- যোগ করেন তিনি।
‘ইঁদুর ধরে দিতে পারলে প্রতিটির জন্য আমরা দেড় ডলার করে দেবো’- ঘোষণা সাইফুল হিদায়েতের।
ডেপুটি গভর্নর বলেননি কীভাবে বাসিন্দাদের ইঁদুর ধরা উচিত এবং তাদের জীবিত অথবা মৃত ইঁদুর ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা উচিত কি-না। কিন্তু জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যদি সম্ভব হয়, বন্দুক ব্যবহার করবেন না দয়া করে।
‘আপনার বুলেট যদি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, তবে তা অন্য মানুষকে আঘাত করতে পারে।’
তবে সংবাদপত্রে বলা হয়েছে- ধরার পর ইঁদুরগুলোকে স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে, যারা এজন্য পুরস্কারের অর্থ দেবেন এবং প্রাণীগুলোকে পুঁতে ফেলার জন্য জাকার্তার স্যানিটেশন সংস্থাকে হস্তান্তর করবেন।
তবে এ পরিকল্পনা যে কাজ করবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ‘ব্যাকফায়ার্ড’ আইনে এ ধরনেরই একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। ইঁদুর ধরার প্রমাণ হিসেবে সেখানে লেজ জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বাসিন্দারা কেবল লেজ কেটে নিয়ে পরে ইঁদুরকে মুক্ত করে দেন। মুক্ত প্রাণীগুলো নর্দমায় ফিরে আসতে ও বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এর অর্থ, জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি প্রাণীগুলোকে নিধন করা সম্ভব হয়নি।