যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, চীনের ‘হাইপারসনিক’ যুদ্ধাস্ত্রই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের
কলকাতা টাইমস :
পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত এবং অত্যাধুনিক বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে চীন। ভারত মহাসাগর জুড়েও ক্রমাগত নিজেদের আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে তারা। খুব দ্রুত তাইওয়ানের উপর সামরিক অভিযানও চালাতে পারে চীনের সরকারি সেনা অর্থাৎ পিপলস লিবারেশন আর্মি। সম্প্রতি চীনকে নিয়ে এই আশঙ্কার কথা সামনে আনল মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। কিন্তু এর থেকেও বড় চিন্তার বিষয় হল ‘হাইপারসনিক’ যুদ্ধাস্ত্র। যা নিয়েই বেশি চিন্তিত মার্কিন গোয়েন্দারা
মার্কিন সরকারের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি অর্থাৎ মার্কিন সামরিক গোয়েন্দাদের রিপোর্টে সামনে এল বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে চীনের অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা। মার্কিন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, শেষ কয়েক দশকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করে ফেলেছে চীন।
মার্কিন গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর অর্থাৎ উৎপাদন শিল্পে চীন সারা পৃথিবীর ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠা থেকেই এই এগিয়ে যাওয়ার শুরু। কম খরচে এবং ভাল পরিকাঠামোতে উৎপাদনের আকর্ষণে সারা পৃথিবীর তাবড় কোম্পানির গন্তব্য এখন চীন। তাতে কোম্পানিগুলির মুনাফা হলেও চীনের কাছে চলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তির বলে বলীয়ান হয়েই এখন পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিভিন্ন যু্দ্ধাস্ত্রের অধিকারী হয়ে গিয়েছে চীন।
যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের সব থেকে বেশি উদ্বেগ ‘হাইপারসনিক’ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে। এই যুদ্ধাস্ত্র শব্দের থেকে কয়েক গুণ বেশি গতিতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানে। গতি অত্যন্ত বেশি হওয়ায় কোনও রেডার বা সেন্সরে এই যুদ্ধাস্ত্রকে চিহ্নিত করা যায় না। তাই এই যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রে কাজ করে না অনেক ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থাই। উন্নত মানের হাইপারসনিক যুদ্ধাস্ত্র হাতে এলে নিশ্চিত ভাবেই নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়বে চীনের সরকারি সেনা বা পিপলস লিবারেশন আর্মি, এমনটাই আশঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের।