ছিল পাথর, হয়ে গেল ১৯শ’ বছরের পুরনো মাথা !
কলকাতা টাইমস :
প্রায় ২০০ বছর আগে ইংল্যান্ডের চিচেস্টারে এক বিরাট পাথর আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এই পাথরটি যে কি সেটাই কেউ বুঝতে পারছিলেন না। এবার Bournemouth University (BU)-র প্রত্নতত্ত্ববিদরা পাথরটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। সূত্র : ইন্টারনেট।
ডক্টর মাইলস রাসেল ও হ্যারি ম্যানলি সর্বশেষ লেজার ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে Bosham Head নামে এই পাথরটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ১৭০ কেজি ওজনের বিশাল এই পাথর আসলে কি আর কিভাবেই বা এটি Bosham এর একটি ফুলের বাগানে এসে পড়লো সে সম্পর্কে এতদিন কেউই কিছু জানত না।
১৮০০ সালের দিকে এই বিশাল পাথরের মাথা এই বাগান থেকেই পাওয়া যায়। স্বাভাবিক মানুষের মাথার আকৃতি থেকে এই পাথরের মাথার আকৃতি দ্বিগুণ। যাই হোক, মাথাটি চিচেস্টারের নভিয়াম মিউজিয়ামের সংগ্রহশালায় ছিল। এবার জানা গেল, এই মাথাটি আসলে রোমান সম্রাট ট্রাজানের একটি মূর্তির অংশ ছিল। আর এটি ছিল ১২২ খ্রিস্টাব্দ সময়কার।
ডক্টর রাসেল বলেন, মূর্তির মাথার অংশটি রোমান যুগের লন্ডনের একটি গুরত্বপূর্ণ নিদর্শন। আর আবিষ্কারটি অবশ্যই চমকপ্রদ।
গবেষকরা নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মাথাটির মুখ ও চুলের ধরণের ত্রিমাত্রিক লেজার স্ক্যান নেন ও এটি থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সেটি প্রাচীন রোমান সম্রাট ট্রাজানের। তবে এতদিন এটিকে চেনা যায়নি কারণ, বহু বছর ধরে এটি অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে ছিল পরিচয়হীনভাবে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্ষয়ে যাওয়া।
রাসেলের মতে, ইতালীয় মার্বেল পাথরে তৈরি ট্রাজানের মূর্তিটি তার উত্তরসূরী হাদ্রিয়ান তৈরি করেছিলেন। ১২১-১২২ সালের দিকে তিনি লন্ডনে এসেছিলেন। একই ধরণের মূর্তি হাদ্রিয়ান ইতালির রোমেও তৈরি করেছিলেন।
মিউজিয়াম ও নগর কর্তৃপক্ষ উভয়ের কাছেই এই মাথার রহস্য এতদিন ধরে অজানাই ছিল! রাসেল ও ম্যানলি এই বিশাল মাথা নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।