ভারতীর লকার থেকে বাজেয়াপ্ত ১১৪ ভরি সোনা, জাল গোটাচ্ছে সিআইডি
নিউজ ডেস্কঃ
ভারতী ঘোষের দু’টি লকার থেকে মিলল ১১৪ ভরি গয়না। ইউকো ব্যাঙ্কের সাদার্ন অ্যাভিনিউ শাখায় ভারতীর লকার খুলে এই পরিমাণ অলঙ্কার হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। এই গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সেগুলি এখন পরীক্ষা করছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার ভারতীর স্বামীকে নিয়েই ব্যাঙ্কে যান গোয়েন্দারা। ছিলেন ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য। তাঁদের উপস্থিতিতেই লকার খোলা হয়।লকারে পাওয়া গেছে বেশকিছু হলমার্ক দেওয়া গয়না। আর তা নিয়েই তৈরী হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক অডিও বার্তায় ভারতী যা সাফাই দিয়েছেন, তাও চমকে দেওয়ার মতো। ভারতী জানান, তিনি জমিদার বাড়ির মেয়ে। তাঁর বিয়েতে ৭৫ তোলা সোনা দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে সরকারকে দেওয়া অ্যাসেসমেন্টে সেকথা জানানো রয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারতীর অভিযোগ, ৩৭৫ গ্রাম সোনা উদ্ধারের জন্য তদন্তকারীরা প্রত্যেক অভিযুক্তের বাড়ির সোনা লুঠ করছেন। তার লকারের গয়নাও লুঠ করা হতে পারে বলে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ভারতী। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই মঙ্গলবার তাঁর সাদার্ন অ্যাভিনিউ-এর ইউকো ব্যাঙ্কের লকার তল্লাশি চালায় সিআইডি।
ভারতীর এই সব দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে সিআইডির বক্তব্য, নব্বইয়ের দশকে পাওয়া গয়নায় হলমার্ক এলো কিভাবে। তখন তো হলমার্ক চালুই হয়নি। যেকারণে গয়নায় থাকা আংগুলের ছাপ খতিয়ে দেখতে চাইছে গোয়েন্দারা। অন্যদিকে ভারতীয় আইনজীবীর দাবি, এই সমস্ত গয়না ভারতী তার চাকরি জীবনে কিনে থাকতে পারেন। একই সংগে তিনি দাবি করেন, সিআইডির কাছে লোকের তল্লাশি করার অনুমতি ছিল, অথচ তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে পাল্টা আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।