আবারও কি রাজনীতির পথে অমিতাভ ? তেমনটাই ইঙ্গিত
নিউজ ডেস্কঃ
ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ছিল অমিতাভ বচ্চনের। সেই সূত্রেই ১৯৮০ দশকের গোড়ায় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুর পরে ১৯৮৪ সালে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। সেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ এন বহুগুণাকে হারিয়ে সাংসদও হন।
কিন্তু সেই রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তিন বছরের মধ্যেই কুখ্যাত বোফর্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে যায় অমিতাভ বচ্চনের নাম। সেই অভিযোগ থেকে আদালত তাকে মুক্তিও দেয়। কিন্তু তার অনেক আগেই রাজনীতিকে ‘নোংরা জায়গা’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন অমিতাভ বচ্চন। এরপরে আরেক পারিবারিক বন্ধু অমর সিংহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে সমাজবাদী পার্টিকে কিছুদিন সমর্থন করেন। তবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আর দেখা যায়নি তাঁকে। নরেন্দ্র মোদির গুজরাট সরকারের বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও বিজেপির সঙ্গে কখনওই তার ঘনিষ্ঠতার জল্পনাও হয়নি।
কিন্তু এবার জল্পনা তৈরি হল। আর সেটা ছেড়ে আসা দল কংগ্রেসকে নিয়েই। এর পেছনে কারণ আর কিছুই নয়, অমিতাভ বচ্চনের টুইট অ্যাকাউন্ট। বাবা রাজীব গান্ধীর বন্ধু ছিলেন অমিতাভ। আর তার ছেলে রাহুল গান্ধীর টুইটার বন্ধু অমিতাভ। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর টুইটার তিনি অনেক আগে থেকেই ফলো করেন। কিন্তু এখন আরও সব কংগ্রেস নেতাদের ফলো করতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে কংগ্রেস দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টও ফলো করছেন তিনি।
সম্প্রতি পি চিদাম্বরম, কবিল সিব্বল, আহমেদ পটেল, অশোক গেহলট, অজয় মেকেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলট, সিপি জোশির মতো কংগ্রেস নেতাদেরও টুইটারে ফলো করছেন। বেশি দিন নয়, গত মাস থেকেই এটা শুরু করেছেন তিনি। টুইটারে অমিতাভ বচ্চনের মতো সুপারস্টারের ফলোয়ার সংখ্যা স্বাভাবিক ভাবেই বিপুল। তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি ফলোয়ার তার। তবে তিনি নিজে ফলো করেন মাত্র ১ হাজার ৬৮৯ জনকে। আর তার মধ্যেই কংগ্রেস নেতাদের সংখ্যা আচমকা বেড়ে গেছে। আর তাতেই এখন নতুন জল্পনা অমিতাভ বচ্চনকে ঘিরে।