বিখ্যাত হয়েই এই তারকারা ফিরেও তাকাননি এই মানুষগুলোর দিকে
কলকাতা টাইমস :
বলিউডে বিখ্যাত হয়েই অনেক তারকারাই ভুলে গিয়েছেন অতীতের প্রেমকে। অনেকে তো অস্বীকারই করেছেন সেই সম্পর্কের কথা। বিখ্যাত হয়েই তারা কেউ আর মনে রাখতে চাননি পুরনো সম্পর্কের কথা
রণবীর সিংয়ের প্রথম প্রেম হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর মেয়ে অহনা। কিন্তু রণবীরই সেই সম্পর্ক ভেঙে দেন। এদিকে অহনার সঙ্গে পরবর্তীতে সম্পর্ক তৈরি হয় আদিত্য রায় কাপুরের। তবে আদিত্যও চার বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেন বলিউডে খানিকটা নাম পেতেই।
ইমরান খানের স্ত্রী অবন্তিকা মালিকই রণবীর কাপুরের প্রথম প্রেম। এমনকি অবন্তিকার সিরিয়াল ‘জাস্ট মহব্বত’-এর সেটেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে রণবীর বলিউডে পুরোদমে কাজ শুরু করার পরই আর যোগাযোগ রাখেননি অবন্তিকার সঙ্গে।
ব্যবসায়ী অসীম মার্চেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। তবে ২০১৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পর থেকেই প্রিয়াঙ্কা তাকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন। তাকে নিয়ে ছবিও বানাতে চেয়েছিলেন অসীম। এদিকে প্রিয়াঙ্কা আইনি নোটিস দিয়েছিলেন অসীমকে।
নীল নীতীন মুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ডিজাইনার প্রিয়াঙ্কা ভাটিয়ার। তবে ২০০৭ সালে প্রথম ছবি ‘জনি গদ্দর’ ছবির সাফল্যের পরই নীল আর যোগাযোগ রাখেননি পুরনো প্রেমিকার সঙ্গে।
সোনাক্ষী সিংয়ের সঙ্গে টানা দু’বছর সম্পর্ক ছিল শিল্পপতি আদিত্য শ্রফের। পরবর্তীতে যদিও সোনাক্ষীই সেই সম্পর্ক ভেঙে দেন, কারণ তিনি তখন বলিউডের নায়িকা।
শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়ন সুমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল কঙ্গনার। তবে ‘গ্যাংস্টার’ মুক্তি পেতেই কঙ্গনা সরাসরি লাইমলাইটে চলে আসেন। তারপর থেকেই আর অধ্যয়নকে চিনতে পারতেন না কঙ্গনা।
বাহরিনের প্রিন্স হাসান বিন রশিদ আল খলিফার সঙ্গে টানা দু’বছর সম্পর্ক ছিল জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। তবে বলিউডে পা রেখে পরিচালক সাজিদ খানের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হতেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক।
দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে অভিনেতা নীহার পাণ্ড্যর সম্পর্ক নিয়ে বি টাউনে গুঞ্জন ছিল। হিমেশ রেশমিয়ার অ্যালবাম ‘আপ কা সুরুর’-এ একসঙ্গে কাজও করেছেন। তবে ‘ওম শান্তি ওম’ মুক্তি পাওয়ার সময় থেকেই সম্পর্কে চিড় ধরতে থাকে।
প্রায় দু’বছর সালমান খানের বোন অর্পিতার সঙ্গে ডেট করেছেন অর্জুন কাপুর। একটি চ্যাট শোয়ে স্বীকারও করেছিলেন সে কথা। তবে অর্জুন ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাখেননি যোগাযোগ।
আনুশকার সঙ্গেই বলিউডে পা রেখেছিলেন জোহেব ইউসুফ। জোহেব ফিরে যান বেঙ্গালুরুতে। সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি আর।
‘গুরু’ ছবি মুক্তির আগে অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দীপান্বিতা শর্মার। কিন্তু গুরু মুক্তির পরই অভিষেক অসম্ভব সাফল্য পান। তাদের ১০ মাসের সম্পর্কে ইতি সেখানেই।
আলি দাদারকরই নাকি আলিয়ার ছোট্টবেলার প্রেম। কিন্তু ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির কাজ শুরু হওয়ার সময়েই ব্রেক আপ হয় তাদের। সেই সময় থেকেই আলিয়াকে চিনছে বলিউড। পরে আবারও যোগাযোগ হয়েছিল। তবে আলিয়া এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি কখনও।