November 1, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

চুইংগাম তো চিবোন, কিন্তু জানেন কি এই অজানা তথ্য !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

চুইংগাম বড়দের তুলনায় শিশুদের বেশি পছন্দ। অনেকে আবার চুইংগাম নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। চিন্তা করেন যদি তার বাচ্চা চুইংগাম খায় তাহলে দাঁতে পোকা হবে। বা নানা ধরণের সমস্যা হতে পারে। তবে অনেকেই চুইংগাম চিবিয়ে থাকেন, কেউ এর গুণ জেনে আবার কেউ বা না জেনে৷ চুইংগামের ব্যাপারে আসলে আমরা কতোটুকু জানি? চলুন জেনে নেওয়া যাক চুইংগামের গুণাগুণ আর অজানা ইতিকথা৷

চিনি ছাড়া চুইংগাম : যারা চিনি খেতে চাননা, চিনি খাওয়াতে অসুবিধা রয়েছে বা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের জন্য ১৯৭৬ সালে প্রথম চিনি ছাড়া চুইংগাম বাজারে আসে৷ এতে করে কেউই চুইংগামের গুণ থেকে বঞ্চিত হন না৷ চিনির কারণে মুখে ব্যাক্টেরিয়া খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়৷ বলা বাহুল্য, এই বংশ বিস্তারের কাজই কমাতে সাহায্য করে চুইংগাম৷

ঠিক জায়গায় ফেলুন : তবে চুইংগামটি চিবিয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেবেন না, তাহলে কি ধরনের সমস্যা হয় তা নিশ্চই জানেন৷ তাই ঠিক জায়গায় ফেলুন আপনার চুইংগামটি৷ চুইংগাম অবশ্য গিলে ফেললেও শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না৷

চুইংগাম আসলে কি? 

১৯৫৪ সালে চুইংগাম শব্দটি প্রথমবারের মতো অভিধানে ঠাঁই পায়৷ চিবিয়ে, অর্থাৎ ‘চিউ’ করে খাওয়া হয় বলেই এর নাম ‘চুইংগাম’৷

অর্গানিক চুইংগাম : ২০০৯ সালে শতকরা ১০০ ভাগ অর্গানিক উপায়ে চুইংগাম তৈরি করা হয়৷ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকটা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়৷

৬৫১ মিলিয়ন ইউরোর চুইংগাম : ২০১২ সালে জার্মানরা ৬৫১ মিলিয়ন ইউরোর চুইংগাম কিনেছেন৷ কাজেই বোঝা যাচ্ছে যে, শুধু অল্প বয়সি ছেলে-মেয়ে নয় সব বয়সিরাই জার্মানিতে চুইংগাম চিবিয়ে নিজেকে সজীব রাখেন৷

চুইংগামের জন্ম : ১৮৪৮ সালে প্রথম জন বি কার্টিস নামের একজন অ্যামেরিকান চুইংগাম তৈরি করেন৷ গাছের বাকলের আঠালো কষ এবং চিনি থেকেই সে সময় চুইংগাম তৈরি করা হতো বলে শোনা যায়৷ ১৮৭১ সালে নিউ ইয়র্কে থমাস অ্যাডাম এবং ১৮৯১ সালে উইলিয়াম উইগলি চুইংগাম বিক্রি শুরু করেন, যার পর থেকে আস্তে আস্তে চুইংগাম জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরে করে৷

চুইংগাম চিবিয়ে সজীব থাকুন : অল্প বয়সিদের অনেকেই সারাক্ষণ চুইংগাম চিবায়, যা দেখতে হয়ত তেমন ভালো লাগেনা৷ তবে এর কিন্তু গুণ রয়েছে অনেক৷ দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকার কারণেই হোক আর ওষুধ সেবন বা অন্য যেকোনো কারণে হোক, অনেকের মুখেই গন্ধ হয়৷ মুখের ভেতর শুকনো লাগে, অর্থাৎ লালা শুকিয়ে যায়৷ মুখের গন্ধ দূর করতে এবং মুখের ভেতরের শুকনোভাব কাটিয়ে তুলতে চুইংগামের তুলনা নেই৷

নিজেই পরীক্ষা করুন : জার্মানির ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের দন্ত বিভাগের প্রধান প্রফেসার বেনইয়ামিন এমকে বলেন, চুইংগামের মাধ্যমে খুব সহজেই মুখের গন্ধ দূর করা সম্ভব৷ মুখের গন্ধ দূর করতে এবং মুখকে সজীব রাখতে নিজেরাই চুইংগাম চিবিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন৷

তাড়াতাড়ি সুস্থ : অন্ত্র অপারেশনের পর চুইংগাম চিবালে নাকি রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে, এমনটাই বলছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা৷ শুধু তাই নয়, চুইংগাম চিবানোর সময় জিভ এবং দাঁত একসাথেই পরিষ্কার হয়ে যায়৷

Related Posts

Leave a Reply