পর্দায় আসার আগে কেউ টাকা গুনতেন তো কেউ গুলি চালাতেন !
কলকাতা টাইমস :
কেউ পুলিশের দাপুটে কর্তা, কেউ বা আবার ছাপোষা সংসারী। টেলিভিশনের সৌজন্যে ঘরে ঘরে এদের অনায়াস যাতায়াত। জনপ্রিয়তায় ফিল্মস্টারদের থেকে কোনও অংশে কম যান না এরা কেউই। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর আগে এরা কী কাজ করতেন?
ছোটপর্দায় এক সময় বেশ পরিচিত নাম ছিল আমির আলির। এখন তাকে তেমন ভাবে চোখে না পড়লেও চকোলেট বয় ইমেজের জন্য বেশ পপুলার ছিলেন তিনি। একতা কাপুরের ‘ঘর ঘর কি কহানি’তে আমিরের অভিনীত সমীর কলকে এখনও অনেকে মনে করেন। তবে টেলি-সিরিয়াল করার আগে বিমানকর্মী হিসাবে কাজ করতেন আমির।
ডেবিউ সিরিয়ালেই মাত করেছিলেন হর্ষদ অরোরা। ‘বেইন্তেহা’-তে জেন আবদুল্লার চরিত্রে হর্ষদকে দর্শকরাও আপন করে নিয়েছিলেন। অভিনয়ে পা রাখার আগে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
টেলি-মহলের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী। দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও মন জয় করেছেন তিনি। তাই দিব্যাঙ্কাকে হামেশাই দেখা যায় অ্যাওয়ার্ড হাতে তুলতে। টেলিভিশনে মুখ দেখানোর আগে ভোপালের রাইফেল অ্যাকাডেমিতে দেখা যেত তাকে। সেখানেই রাইফেল চালানো শিখতেন দিব্যাঙ্কা। শুটিংয়ে সোনার পদকও রয়েছে তার।
ডেইলি সোপ ‘ইয়ে রিস্তা ক্যায়া ক্যাহলাতা হ্যায়’-এ নৈতিকের চরিত্রে সাড়া জাগিয়েছিলেন করণ মেহরা। টেলিভিশনে এক সময় করণের ফ্যামিলি ম্যান ইমেজটা বেশ উপভোগ করতেন দর্শক। অভিনয়ের আগে করণের মন ছিল ফ্যাশন ডিজাইনে।
শিবাজি শতমের নামটা চেনা চেনা লাগছে? অনেকেই মাথা নেড়ে ‘না’ বলবেন। এসিপি প্রদ্যুম্ন নামটা শুনেছেন? এবার নিশ্চয়ই মনে পড়েছে, এসিপি প্রদ্যুম্নই আসলে শিবাজি। ওই সিরিয়ালের জন্য জনপ্রিয়তার জন্য সিংহভাগই দাবি করতে পারেন তিনি। তবে ‘এসিপি’ হওয়ার আগে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল শর্মা’র সৌজন্যে সুনীল গ্রোভারকে একডাকে অনেকেই চেনেন। তবে কমেডিয়ান হিসাবে তার নামডাক হওয়ার আগে রেডিও জকি হিসাবে শ্রোতাদের মাতাতেন সুনীল।