September 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular সফর

উপজাতিদের বর্ণময় জীবনে রাংতে যাই আলং

[kodex_post_like_buttons]

ট্রাভেল  ডেস্ক : 

বেড়ানো নিয়ে নতুন সিরিজ। বাদিকের বুকপকেট-টায় একটু ইচ্ছে ভর্তি করে চলুন বেরিয়ে পড়ি।প্রজাপতি হয়ে একটা একটা করে রাজ্য পাড়ি দেব আমরা। শুরু করছি অরুণাচলপ্রদেশ- থেকে। ভালুকপং, বমডিলা, দিরাং, তাওয়াং, ইটনাগর,  জিরো-হাপোলি ও  দাপোরিজো এর পর এবার যাই শেষ গন্তব্য আলং ও  নামডাফা টাইগার রিজার্ভ । 

উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাজ্য অরুণাচলপ্রদেশ, সকালবেলার রোদ্দুর যেখানে ভারতের মাটিতে প্রথম পা ফেলে। অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ি এই রাজ্যটিতে বাস করেন নানান উপজাতির মানুষেরা। চিন-তিব্বত সীমান্তে অবস্থানের জন্য অরুণাচল প্রবেশে ইনারলাইন পারমিট লাগে। পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব অরুণাচলের জন্য আলাদা আলাদা পারমিট করতে হবে।

আলং(Alang)- সিয়াম নদীর তীরে আদি উপজাতির মানুষদের বাসভূমি আলং। আলং শহরের দ্রষ্টব্য গুলি হল-রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানমিউজিয়ামক্র্যাফট সেন্টারদোয়নিপোলোর মন্দির।সিয়াম ও সিয়াং নদীর মিলনস্থানটিও অপরূপ।যাওয়া দাপোরিজো থেকে পশ্চিম সিয়াং জেলার সদর শহর আলং-এর দূরত্ব ১৭৮কিমি। বাসে বা গাড়িতে যাওয়া যাবে।

থাকা সার্কিট হাউস বা ইনস্পেকশন বাংলোয় থাকা যায়।কয়েকটি হোটেলও আছে।

উৎসব– আদিবাসিদের প্রধান উৎসব সোলুং (Solung) এবং মোপিন (Mopin)।সোলুং হয় সেপ্টেম্বরের প্রথমে আর মোপিন হয় এপ্রিলের শুরুতে।

পাসিঘাট(Pasighat)- সিয়াং নদীর তীরে কমলালেবুর শহর পাসিঘাট।পাসিঘাটে দর্শনীয় ডাঙারিয়া শিবমন্দির, দোয়ানিপোলোর মন্দির, মিউজিয়াম।পাসিঘাটের কাছেই ডঃ ডেরিং এরিং অভয়ারণ্য

যাওয়া আলং থেকে পাসিঘাটের দূরত্ব ১০৫কিমি।বাসে বা ভাড়া গাড়িতে যাওয়া যায়।পাসিঘাটের নিকটতম বিমানবন্দর ও রেলস্টেশন ডিব্রুগড় টাউন(DBRT)।পাসিঘাট থেকে বাসে ওইরাম ঘাট পৌঁছে নৌকায় ডিব্রুগড় পৌঁছান যায়।
থাকা পাসিঘাটেও সার্কিট হাউস ও ইনস্পেকশন বাংলো আছে।থাকার জন্য হোটেলও পাওয়া যায়।

নামডাফা টাইগার রিজার্ভ অরুণাচল- মায়ানমার সীমান্তে চ্যাংলাং জেলায় ১৮০৮ বর্গ কিমি ব্যপী নামডাফা টাইগার রিজার্ভ।১৯৮৩ সালে, এই বনাঞ্চল টাইগার রিজার্ভের তকমা পায়।অরণ্যের এন্ট্রিপয়েন্ট ডিবান।বট, অশ্বত্থ, ধূপ, হরিতকী, আমলকি চেনা-অচেনা নানান গাছে ছাওয়া এই বনভূমিতে লুপ্তপ্রায় তুষারচিতার দেখা মেলে।এছাড়া বাঘ, লেপার্ড, হাতি, বাইসন, বুনোকুকুর, লেপার্ড ক্যাট, লালপান্ডা, নানান প্রজাতির হরিণ, শম্বর,শুয়োর, ক্লাউডেড লেপার্ড, নানান সরীসৃপ, পাখি ও প্রজাপতির বাসভূমি এই অরণ্য।পাখির স্বর্গ নামেরিতে দেখা মিলবে ধনেশ, মোনাল, পিকক ফেজেন্ট, মিনিভেট, টিয়া প্রভৃতি নানা প্রজাতির পাখির।বেড়াবার মরসুম ডিসেম্বর থেকে মার্চ।

যাওয়াঃ– নিকটতম রেলস্টেশন মার্গারিটা ৬৪ কিমি দূরে।১৪০ কিমি দূরেই ডিব্রুগর বিমানবন্দর । গুয়াহাটি থেকে তিনসুকিয়া হয়েও সড়কপথে আসা যায়।

থাকাঃমিয়াওতে সরকারি ট্যুরিস্ট লজ ও ডিবান-এ ফরেস্ট বাংলো আছে।

Related Posts

Leave a Reply