November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

পঞ্চাশের পর অ্যাসপিরিনকে করুন নিত্যসঙ্গী, অবাক করবে ফল  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

ঞ্চাশ ও ষাটের কোঠায় যারা পা দিয়েছেন তারা প্রতিদিন অ্যাসপিরিন খেলে উপকার পেতে পারেন। তবে যারা ৫০-এর পর এটি নিয়মিত গ্রহণ করেন তারা সর্বোচ্চ উপাকার পেতে পারেন। এক আমেরিকান গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, প্রতিদিন অ্যাসপিরিন খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

আবার নারী-পুরুষ যারা ৬০-এ পা দিয়েছেন তারাও প্রতিদিন এই ওষুধ থেকে উপকার পেতে পারেন। আমেরিকার প্রিভেনটিভি সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স (ইউএসপিএসটিএফ) থেকে সবাইকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। আরো বলা হয়, নিম্নমাত্রার (৮১ মিলিগ্রামস) একটি অ্যাসপিরিন প্রতিদিন খাওয়াটা ব্যয়বহুল নয়। কিন্তু এতে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসবে উল্লেখযোগ্য হারে।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর এবং ইউএসপিএসটিএফ’র প্রধান ড. ক্রিস্টেন বিবিনস-ডোমিংগো জানান, ৬০-এর কোঠা পেরোনোর পর অ্যাসপিরিন গ্রহণে কার্যকর উপকারিতা এবং সম্ভাব্য ক্ষতির ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। কারণ ওই সময় থেকে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে অ্যাসপিরিন খাওয়া ফলে অন্ত্রে রক্তক্ষরণ ঘটতে  পারে।

ইউএসপিএসটিএফ থেকে জানানো হয়, ৫০-৬৯ বছর বয়সী যাদের আগামী ১০ বছরের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বেশি, তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন বেশ উপকার করছে। তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের বয়স, লিঙ্গ, রক্তচাপ, কোলেস্টরেলের পরিমাণ এবং লিপিড লেভেল বিবেচ্য। ডায়াবেটিস এবং ধূমপানের বিষয়টিও প্রভাববিস্তার করে।

হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ : সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা হৃদরোগ প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন থেরাপি দেওয়া হয়। ৪০ বছর এবং বেশি বয়সীদের অ্যাসপিরিন দেওয়া হয় এবং তার উপাকারিতা ও ক্ষতির মাত্রা কম্পিউটারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা গেছে, ৫০-এ যারা পা দিয়েছেন তাদের অ্যাসপিরিন ইতিবাচক কাজ করছে। তবে ৪০ বছর থেকেই যে প্রতিদিন অ্যাসপিরিন খেলে ভালো কাজ করবে এমন কোনো কথা নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৫-১০ বছর ধরে প্রতিদিন নিম্নমাত্রার অ্যাসপিরিন গ্রহণে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকার মেলে। তবে হৃদরোগ প্রতিরোধে খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করে এটি।

তবে ৫০ বছর বয়সের মানুষের স্বল্প সংখ্যকের মাঝে অ্যাসপিরিনের কারণে অন্ত্রে রক্তক্ষরণ বা হেমোরহাজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। তবে হৃদরোগ, স্ট্রোক বা অন্ত্রে রক্তক্ষরণের মতো ঝুঁকি এড়াতে সক্ষম হবেন।

Related Posts

Leave a Reply