নিজেকে ‘ডাইনি’ আখ্যা, স্বেচ্ছায় জঙ্গলে তরুণী
কলকাতা টাইমস :
স্থায়ী চাকরি‚ স্থায়ী জীবন সবই ছিল তার। কিন্তু কোথায় যেন অভাব। আর তাই সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলেন। নিজেই নিজেকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে শহরের কোলাহল এড়িয়ে চাকরি ছেড়ে সাঁইত্রিশ বছর বয়সী সারা ব্রুকস সোজা চলে এলেন গহীন অরণ্যের মাঝে। অভ্যাস করছেন জাদুবিদ্যা। নিজেকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করতে কোনও সংকোচ নেই সারা-র।
দশ বছর আগে প্রথম স্বামী স্টিফেন ব্রুকসের সঙ্গে কোস্টারিকার জঙ্গলে কাঠের তৈরি বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন আদতে অমেরিকার ফিলাডেলফিয়ার বাসিন্দা সারা। বুঝতে পেরেছিলেন অর্গ্যানিক ফুড কম্পানিতে কাজ করে গোটা জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান না তিনি। জঙ্গলের মাঝে বাঁশ ও মৃত গাছের কাঠ দিয়ে বানানো বাড়িতেই আছেন। সৌরশক্তি দিয়ে পেয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের যোগানও। বৃষ্টির পানি জমা করে রেখে তাতেই পানির সমস্ত প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছেন। নিজের চাষ করা শাকসবজি‚ শসা‚ বাদাম বা গাছগাছড়ার জন্যও ব্যবহার করছেন সেই পানিই।
কোস্টারিকার অরটিনা নামের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেষজ শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। জীবনে মানুষই তাঁর কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে একেবারেই মনে করেন না সারা। ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করার সময় অনুভব করেন একরকমের অতিপ্রাকৃত অস্তিত্ব। তারপরেই বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ডাইনিদের প্রতি হওয়া অত্যাচারের কথা পড়ে তাঁদের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেছিলেন সারা।
ধীরে ধীরে তাঁর মনে হয় তিনি আদতেই কোন সাধারণ মহিলা নন, একজন ডাইনি এবং তাই জন্যেই নিজের যাবতীয় প্রয়োজন গাছগাছড়ার সাহায্যে মিটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা তাঁর মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁর এই মানসিকতাকে অদ্ভুত মনে করেছিলেন।