যে করেই হোক, সেই মহিলা চালককে খুঁজতে চান মসজিদে হত্যালীলার সাক্ষী মাজদা
কলকাতা টাইমস :
ছেলের মা হওয়ার পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে যে এতবড় দুঃখের সম্মুখীন হবেন তা কখনো ভাবতেই পারেননি মাজদা আল হাজি। ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদে আঁততায়ীর গুলিতে নিজের বাবা-বন্ধু ও প্রতিবেশি মুসলিমদের প্রাণ হারাতে দেখেছেন চোখের সামনে। যদিও সেই নির্মমতার মাঝেই আরেক মহানতার পরিচয়ও পেয়েছেন তিনি। আপাতত মাজদা সেই অচেনা মহানতাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
মাজদা জানান, ভয়াবহ সেই হামলাকারীর বন্দুকের গুলি এড়িয়ে কাঁধে ছোট্ট ছেলেকে তুলে নিয়ে কোনো রকমে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন তিনি। ছেলেকে নিয়ে তিনি যখন দৌড় শুরু করেন, তখন বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
হামলাকারী শেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্টের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ছেলে-সহ প্রাণে বেঁচে যান মাজদা। মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার পর রাস্তায় একটি গাড়ি দেখতে পান তিনি। সেই গাড়ির চালকের আসনে বসে ছিলেন একজন মহিলা । মুহূর্তের মধ্যে ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরেছিলেন ওই মহিলা চালক।
তিনি গাড়ির দরজা খুলে দিলে উঠে বসেন মাজদা। পরে সেখান থেকে আরো কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে তিনি দ্রুত সরে পড়েন। এখন ওই গাড়ি চালক মহিলাকে মরিয়া হয়ে খুঁজছেন মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরা মাজদা। তাকে একবারের জন্যে হলেও ধন্যবাদ জানাতে চান তিনি। কারণ পাঁচ মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে মসজিদের সামনে থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন ওই মহিলা চালকই।
মাজদা বলেন, ৩০-৪০ বছর বয়সী এক মহিলা একটি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে। মাজদা হাজি ওই গাড়ির ভেতরে লাফিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওই মহিলার পরনে কালো পোশাক ছিল। পোশাকে একটি খাবারের কোম্পানির লোগো ছিল।