‘ভূত ধরবেন? কিনে আনুন এই সব যন্ত্রপাতি
কলকাতা টাইমস :
ওঝা, গুনিনের আদ্দিকালের গ্রাম্য ভূত চর্চার কথা প্রায় সবাই জানি। মুড়ো ঝাঁটা, লঙ্কাপোড়া, তেল, জল, সর্ষে হাতে এদের কারবার। কিন্তু গৌরব তিওয়ারির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানার আগে অনেকেই জানতেন না, ভূত প্রেতের চর্চাও এখন কতটা অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ড, আমেরিকার মতো এ দেশেও চলছে ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন’। ভূত খুঁজে বেড়ানোই এঁদের কাজ।
কিন্তু কী ভাবে খোঁজেন?
ঝাড়ফুঁক, তুকতাক, মন্ত্র দিয়ে ভূত ধরা নয়, এঁদের ভূত ধরার যন্ত্রপাতি বেশ আধুনিক। আসুন জেনে নেওয়া যাক, একুশ শতকের ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন’-এ ব্যবহৃত সেই সমস্ত আধুনিক সরঞ্জামের কথা।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর : এই যন্ত্রটির আরেক নাম ইএমএফ মিটার। প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটররা মনে করেন আত্মার উপস্থিতি বা কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ নাকি ধরা পড়ে এই যন্ত্রে।
ইলেকট্রনিক ভয়েস ফেনোমেনা বা ইভিপি : প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটরদের মতে প্রেতাত্মারা আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত ক্ষীণ শব্দ তরঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যা এমনিতে শোনা যায় না। এই যন্ত্রের মাধ্যমে ধরে পরে সেই সব ইনফ্রা সাউন্ড বা ক্ষীণ শব্দ তরঙ্গ।
এক্সটার্নাল থার্মোমিটার : ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন’-এর ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। ভূত-সন্ধানীদের মতে, কোনও স্থানের তাপমাত্রার অস্বাভাবিক রকমের দ্রুত পরিবর্তন আসলে সেখানে প্রেতাত্মার উপস্থিতিরই ইঙ্গিত।
ডিজিটাল ইনফ্রারেড ক্যামেরা : একে থার্মাল ইমেজারও বলা হয়। গাঢ় অন্ধকারের মধ্যেও এই ধরনের ক্যামেরার সাহায্যে মোটামুটি স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব। ফলে অন্ধকারের মধ্যেও ‘প্যারানরমাল ভিডিও ডকুমেন্টেশন’-এ সুবিধে হয় এই ক্যামেরার সাহায্যে।
আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট : ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন’-এর ক্ষেত্রে এটি একটি অপরিহার্য যন্ত্র। খালি চোখে যা ধরা পড়ে না তা এই অতিবেগুনি টর্চের আলোয় অনায়াসেই ধরা পড়ে। অশরীরী আত্মাও নাকি এতে ধরা দেয়।