এলোমেলো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক রূপকথা হয়ে রইলেন ‘রোজ মেরি বেন্টলি’
কলকাতা টাইমসঃ
চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক রূপকথার নাম রোজ মেরি বেন্টলি। ২০১৮ সালের এক বসন্তে মৃত্যু হয় ৯৯ বছরের এই বৃদ্ধার। পোর্টল্যান্ডের অরিগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সির লাশ কাটা ঘরে একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে আজও বিস্ময় এই বৃদ্ধা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় দান করা হয়েছিল তার দেহ। সেদিন অ্যানাটমির ক্লাসে হাজির থাকা ওয়ারেন নিলসেন জানান, বেন্টলির হৃদযন্ত্রের বড় একটি ধমনী ছিল না। এটা সাধারণত ডান পাশে থাকে। কোনভাবেই ইনফেরিওর ভেনা কাভা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অবশেষে সেটা খুঁজে পাওয়া গেলো একেবারে বিপরীতে।
বেন্টলির ধমনী ছিল বামপাশে। ওটা সরাসরি হৃৎপিণ্ডের দিকে না গিয়ে মধ্যচ্ছদা দিয়ে বুকের অংশের কশেরুকার সঙ্গে চলে গেছে। তার ডান ফুসফুসের মাত্র দুটো লোব রয়েছে। অথচ এটা তিনটি থাকার কথা। তার হৃদযন্ত্রের আট্রিয়ামও স্বাভাবিক আকারে দ্বিগুন ছিল। আবার যকৃৎ প্রধানত ডানেই থাকে। কিন্তু বেন্টলিরটা বামে। তার স্প্লিন ডানে থাকার কথা। কিন্তু ওটার দেখা মিলল বামে। তেমনিভাবে তার পরিপাক নালী এবং মলাশয়ের উর্ধ্বগামী নালী ঠিক বিপরীত অবস্থানে ছিল। এভাবে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় সকলেরই হৃদযন্ত্রে ত্রুটি থাকে। এই ভাবে জন্ম নেওয়া ৫-১৩ শতাংশ শিশু পাঁচ বছর বয়সের আগেই মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু বেন্টলির বিষয়টা একেবারেই আলাদা। তার হৃৎপিণ্ডে কোনো ত্রুটি ছিল না।