প্রতি ৫ জনের একজন সন্তানের নাম নিয়ে আফসোস করেন
এক ব্রিটিশ সার্ভেতে বলা হয়, প্রতি ৫ জন বাবা-মায়েদের একজন সন্তানের যে নাম দেন তা নিয়ে পরে আফসোসে ভোগেন। যারা নাম নিয়ে অখুশি থাকেন তাদের ২৫ শতাংশ পরবর্তিতে নামের জনপ্রিয়তার বিষয়ে খেয়াল রাখেন। আর ১১ শতাংশ নামের বানান ও উচ্চারণ নিয়ে সমস্যায় পড়েন।
মামসনেট নামের একটি ওয়েবসাইটের পরিচালিত ওই সার্ভেতে বলা হয়, ১৮ শতাংশ বাবা-মা সন্তানের নাম নিয়ে রীতিমতো অনুতাপে ভোগেন। এদের মধ্যে আবার ২ শতাংশ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। ২৩ শতাংশ বাবা-মা জানান, সন্তান স্কুলে যাওয়ার পর তার নাম নিয়ে মন খারাপের দিন শুরু হয় তাদের। অদ্ভুত হলেও সত্য যে, ১২ শতাংশ সন্তান জন্মের আগেই তার নাম ঠিক করে রাখেন এবং তখন থেকেই মনে হতে থাকে যে নামটি ভালো হয়নি।
সার্ভেতে কয়েকটি নাম উঠে এসেছে যা নিয়ে বাবা-মায়েদের পরবর্তিতে আপত্তি শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে চার্লোটি, এমেলিয়া, অ্যানি, ডেনিয়েল, জ্যাকোব, জেমস এবং থমাস।
এক মা জানান, সন্তান জন্মের পরই যে নাম দিয়েছিলেন সে নামটি ব্যবহার করে এক সন্ত্রাসী দল। আরেকজন জানান, ফ্রোজেন ছবিটি দেখার পর তার সন্তানের এলসা নাম নিয়ে সমস্যা শুরু হয় তার মনে।
মামসনেট-এর প্রতিষ্ঠাতা জাস্টিন রবার্টস জানান, সন্তান জন্মের পর বাবা-মায়েরা প্রথম যে কাজটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তা হলো শিশুর নামকরণ। এর জন্য বেশ সময় ব্যয় করেন তারা। অবশেষে অনেকের মনে এ নিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ শিশুই তার নিয়ে কোনো সমস্যায় না ভুগে বড় হয়। আর যাদের মনে পরে আপত্তি দেখা দেওয়া তারা সাধারণত নামের মাঝের অংশ, ডাকনাম বা অন্য কোনো নাম ব্যবহার করে। এসব তথ্য দেওয়া হয় সার্ভেতে । ব্রিটেনের এক জাতীয় সার্ভেতে বলা হয়, ২০১৫ সালে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুদের বহুল ব্যবহৃত নামটি ছিল এমেলিয়া, আর ছেলেদের অলিভার।